ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নাওমি ক্যাম্পবেলের দাবি করা পাথরগুলি আসলে হীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১০
নাওমি ক্যাম্পবেলের দাবি করা পাথরগুলি আসলে হীরা

কেপ টাউন: নওমি ক্যাম্পবেলের কাছে থাকা অখন্ড মূল্যবান রত্নগুলো আদতে খাঁটি হীরা। ১৯৯৭ সালে লাইবেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলরের কাছ থেকে একটি দাতব্য নৈশভোজে এই হীরাগুলো গ্রহণ করেছিলেন নওমি।

এর জন্য বিশ্ববিখ্যাত এ মডেল জেরার মুখোমুখি হতে পারেন বলে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞের সাহায্যে ঘটনার সত্যতা প্রমাণের পর দক্ষিণ আফ্রিকান পুলিশের বিশেষ তদন্ত বিভাগের মুখপাত্র মুসা জোন্দি বলেন,“এগুলো সত্যিকারের হীরা যা বর্তমানে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ”

এছাড়া হীরাগুলোর বিষয়ে ক্যাম্পবেলকে প্রশ্ন করার প্রয়োজন হতে পারে উল্লেখ করে জোন্দি বলেন, “আমাদের কাছে এখন যে তথ্য আছে এবং পরবর্তীতে যে তথ্যের প্রয়োজন হবে, তাঁকে প্রশ্ন করার বিষয়টি তার উপর নির্ভর করছে। এখনও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। ”

এদিকে বৃহস্পতিবার হগে টেইলরের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিচারে সাক্ষ্য দিয়ে নওমি বলেন, ১৯৯৭ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার আয়োজিত একটি দাতব্য নৈশভোজের পর তিনি “কুৎসিত দেখতে এ পাথরগুলো” পেয়েছিলেন। এগুলি লাইবেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিয়ে থাকতে পারেন বলেও তিনি ধারণা করেছিলেন বলে জানান নওমি। উল্লেখ্য, তাঁকে এ মামলার একজন সাক্ষী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নেলসন ম্যান্ডেলার শিশু তহবিলে এগুলো দান করলেও এর সাবেক পরিচালক জেরেমি র‌্যাটকিফ পাথরগুলো নিজের কাছে রেখে দেন এবং বৃহস্পতিবার এগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশের কাছে সমর্পণ করেন।

‘ব্লাড ডাইমন্ড’ বলে অনুমান করা এ পাথরগুলো অস্ত্র কেনার টাকা জোগাড়ের জন্য অবৈধভাবে খনি থেকে উত্তোলন করা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা টেইলরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য ১১ বার এবং প্রতিবেশী সিয়েরা লিওনে ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের জন্য মামলা হয়। এ যুদ্ধে এক লাখ ২০ হাজার জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।