ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নোবেজলয়ী হাঙ্গেরিয়‍ান লেখক কারতেৎসেরে জীবনাবসান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
নোবেজলয়ী হাঙ্গেরিয়‍ান লেখক কারতেৎসেরে জীবনাবসান

ঢাকা: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হাঙ্গেরির লেখক ইমরে কারতেৎসের জীবনাবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানী শহর বুদাপেস্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

এসময় কারতেৎসের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

 

কারতেৎসের প্রকাশকের বরাত দিয়ে হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এমটিআই এ খবর দিয়েছে। এমটিআই বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এই লেখক।

কারতেৎস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জার্মানির নাৎসী বাহিনীর গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়‍া কিশোর ছিলেন। দু’দুটি বন্দি শিবিরে থেকেও তিনি প্রাণে বেঁচে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে মুক্তি পান।

নিজের সাহিত্যকর্মে নাৎসীদের গণহত্যার সেই ‘সত্যচিত্র’ তুলে ধরায় তাকে ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কারের বিচারকদের মতে, মানবতা কতোটা নিচে নামতে পারে সেই বিষয়টি নাৎসী গণহত্যার চিত্র বর্ণনায় তুলে ধরেছেন কারতেৎস।

১৯২৯ সালে বুদাপেস্টে জন্ম নেওয়া এই হাঙ্গেরিয়ান ইহুদীকে কৈশোরেই নাৎসীদের নির্যাতন কেন্দ্র বা বন্দি শিবির  ‘আউসভিৎস’-এ পাঠানো হয়। তারপর তাকে পাঠানো হয় বুশেনওল্ড বন্দি শিবিরে। এই বন্দি শিবিরগুলোর গ্যাস চেম্বারে অনেক নারী ও শিশুকে বিশেষত ইহুদীকে হত্যা করা হলেও বেঁচে যান কারতেৎস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসীদের পতনের পর ১৯৪৫ সালে মুক্ত হন তিনি।

এই জীবন নিয়ে তিনি একসময় বলেছিলেন, শৈশবে জীবনের প্রতি আপনার বিশ্বাস থাকবে। কিন্তু যখন জীবনে ‘আউসভিৎস’ এর মতো কিছু ঘটে, তবে সবকিছুই ভেঙে পড়ে।

বন্দি শিবিরের ভয়াবহ নির্যাতন তুলে ধরেই হাঙ্গেরিয়ান জনগণের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন কারতেৎস। পরবর্তী সময়ে তার সাহিত্যকর্ম জিতে নেয় নোবেল কমিটির হৃদয়ও। তারই প্রমাণ হিসেবে তিনি ২০০২ সালে জিতে নেন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।