ঢাকা: কলকাতায় বিবেকানন্দ উড়ালসেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় দায় থেকে পার পেতে শুরু থেকেই নানা মন্তব্য করে যাচ্ছে নির্মাণ সংস্থা আইভিআরসিএল। প্রথমে তাদের দাবি ছিল, মান বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েনি।
এবার ‘বোমা হামলা’র কথা বলতে শুরু করেছে তারা।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) আইভিআরসিএল’র লিগ্যাল অ্যাডভাইজর শীলা পেদিন্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় আশেপাশের ভবনগুলোর কাচ চুরমার হয়ে গেছে। এমনও হতে পারে, কোনো ‘বিস্ফোরণের’ কারণে এমনটা হতে পারে। কাজেই তদন্ত যদি করতেই হয়, এ বিষয়েও তদন্ত হওয়া উচিত।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে ভূকম্পনের কারণে উড়ালসেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করে বসে নির্মাণ সংস্থাটি। দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকা কেঁপে ওঠার ব্যাপারে স্থানীয়দের মন্তব্যের ওপর ভর করে এ দাবি তোলে আইভিআরসিএল।
কিন্তু এতে মন গলেনি কারোর। কলকাতা পুলিশ এরই মধ্যে নরহত্যাসহ হত্যা চেষ্টা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতায় আইভিআরসিএল কার্যালয়ে সিলগালা করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সংস্থাটির সাত শ্রমিককে আটক করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজিব কুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্মাণসংস্থার পাঁচ কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তর কলকাতার গণেশ টকিজের কাছে আচমকাই ভেঙে পড়ে নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ উড়ালসেতুর ৬০ মিটার দীর্ঘ একটি অংশ। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৯ জন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় আহত ৯০ জনকে উদ্ধার করে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীদের একজন জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষদিকে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া জীবিত আর কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। এছাড়া শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ধ্বংসস্তুপ সরানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
আরএইচ
** কলকাতায় চলছে উদ্ধার কাজ, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা