ঢাকা: তিনটি ‘প্রতীকী’ ফ্লাইটের মাধ্যমে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত জাভেনতেম বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কার্যক্রমের প্রথমদিনেই অতিরিক্ত চেকিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
শনিবার (০২ এপ্রিল) জাভেনতেম বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী আর্নড ফেইস্ট সাংবাদিকদের জানান, তিনটি প্রতীকী যাত্রীবাহী ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমানবন্দরের আংশিক কার্যক্রম শুরু হতে চলেছে। ফ্লাইট তিনটি যথাক্রমে পর্তুগিজ শহর ফারো, গ্রিসের অ্যাথেন্স ও ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুরিনের উদ্দেশে উড়াল দেবে।
তিনি বলেন, এই তিনটি ফ্লাইট শুধু কার্যক্রমের সূচনাই ঘটাবে না, সঙ্গে ‘কাপুরুষোচিত’ হামলার পর বিমানবন্দরের উঠে দাঁড়ানোর প্রতীক হয়ে থাকবে।
প্রথম ফ্লাইটটি রোববার (০৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট) ফারোর উদ্দেশে উড়াল দেবে।
গত ২২ মার্চ ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে জাভেনতেম বিমানবন্দরের ডিপার্চার হলে জোড়া আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ১২ জন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে অবস্থিত মায়েলবিক মেট্রোস্টেশনে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ২০ জন। এছাড়া এসব হামলায় আহত হন তিন শতাধিক। পরে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এসবের দায় স্বীকার করে নেয়।
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে এত বড় একটি হামলার পর জাভেনতেম বিমানবন্দরের এত স্বল্পসময়ে কার্যক্রম শুরু একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। সেই সঙ্গে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, তাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, নিরাপত্তা না বাড়ালে বেলজিয়াম পুলিশের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর করা হয়েছে। আর এ জন্য ফ্লাইটের যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এবার আগের পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি পাসপোর্ট ছাড়াও পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে টহলে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য। যারা নিরাপত্তার পুরোপুরি শর্তপূরণ করতে পারবেন, তাদেরকেই শুধু ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
আরএইচ