ঢাকা: বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণার শুরুতে তার গলাকে ‘দরাজ’ বললেও যেন কম বলা হয়ে যেত। বিবেকানন্দ উড়ালসেতু ভেঙে পড়ে অনেকগুলো প্রাণ ঝরে গেলেও সে কণ্ঠ নরম হয়নি।
নির্বাচনী প্রচারণায় আসানসোল গিয়ে তিনি বলেছেন, ক্ষমা করবেন! দোষ-ত্রুটি সবই আমার। আমার ওপরই অভিমান করবেন। কিন্তু দয়া করে আপনাদের আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা, দোয়া তৃণমূলের মাথা থেকে সরিয়ে নেবেন না! তা হলে আমার পক্ষে পথ চলা মুশকিল হয়ে যাবে!
বর্ধমানে অপর এক সভায় মমতা বলেছেন, ভুল করলে মানুষকে সংশোধন করার সুযোগ দিতে হয়। সব সময় বলব না, আমি সবজান্তা!
তবে সবকিছুকেই যেন ছাপিয়ে গেল দূর্গাপুরে মেয়রের পক্ষে ভোট চাওয়ার সময়। সেখানে তিনি বলেন, কেউ কি বলতে পারবেন অপু চোর? অভিমান হলে অপুকে দু’চড় মারুন। তবু দয়া করে জেতান!
এমনকি ক্ষমতা ধরে রাখতে এখন বিরোধীপক্ষকে আক্রমণ করাও বন্ধ করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বিবেকানন্দ উড়ালসেতু ভেঙে পড়লে নিজের সরকারের কোনো দায় নেই ইঙ্গিত করে তিনি সাবেক বাম সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন। সেই মমতাকেই এবার দূর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যূতে বলতে শোনা গেল, কখনও এক লক্ষ, দু’লক্ষ, ৫০ টাকার নোট দেখিয়ে কি বোঝানো হচ্ছে? আর যারা হাজার হাজার টাকা চুরি করে, ব্ল্যাকমেলিং করে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে, সেগুলি কি? যিনি টাকা দিয়েছেন, তিনিও অন্যায় করেছেন!
কথাগুলো তিনি বিভিন্ন স্ট্রিং অপারেশন, বিশেষ করে নারদ স্ট্রিং অপারেশন সম্পর্কে বলেছেন। তবে এর আগে কিন্তু ভিডিও ফুটেজগুলোকে তিনি ‘ভেজাল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার সেই ‘ভেজাল’ ভিডিও ফুটজেকেই সত্য বলে একপ্রকার প্রত্যক্ষভাবে মেনে নিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
আরএইচ