ঢাকা: গ্রামাঞ্চলে অ্যালকোহল সেবনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সপ্তাহ খানেক আগেই। এবার পুরো রাজ্য জুড়ে তা নিষিদ্ধ করলেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সরকার।
রাজ্যের বাসিন্দাদের মদের নেশা ছাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নেশা ছাড়াতে গিয়ে ঘটলো আরেক বিপত্তি। যার ফলাফল, গত ৫ এপ্রিল রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ জনের হাসপাতালে যাওয়া।
এক ব্যক্তি তো গোটা সাবান খেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। হ্যাঁ, ‘অ্যালকোহল উইথড্রয়াল সিম্পটমস’র জেরেই বিহারে এমন অবস্থা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ড্রাই স্টেট নীতিতে মঙ্গলবার থেকে দুই প্যাক পেটে পড়া বন্ধ হয়ে গেছে রাজ্যের মদ্যপ ব্যক্তিদের।
রাত থেকেই পুরো রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গেছে মারাত্মক উইথড্রয়াল সিম্পটমস। এরইমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে ৭৫০ রোগী উইথড্রয়াল সিম্পটমস-এ ভুগছে।
চিকিত্সকরা বলছেন, মদ না পেয়ে কারও শরীর কাঁপছে। মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ পরিবারের লোকজনকেও চিনতে পারছেন না। এক ব্যক্তি মদ না পেয়ে পুরো সাবান খেয়ে ফেলেছেন। তার অবস্থা গুরুতর।
‘এক ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের কিছুতেই চিনতে পারছেন না। তিনি রোজ ৬০০ থেকে ১২০০ মিলিলিটার দেশি মদ খেতেন। মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি,’ এভাবেই বলছিলেন এক স্থানীয় চিকিৎসক।
১৭ বছর বয়সী এক মদ্যপ কিশোরের মা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিনই মদ খেতো। মঙ্গলবার রাতে মদ না পেয়ে হাতের কাছে যা পাচ্ছে, তাই চিবোচ্ছে। এমনকি মরিচও বাদ দিচ্ছে না। প্রচণ্ড মারধর করছে পরিবারের লোকজনকে, ভীষণ উগ্র হয়ে উঠেছে সে। ’
এদিকে এ পর্যন্ত ৭৫০ জনকে বিভিন্ন ডি-অ্যাডিকশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিহার কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এমএ/