ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দ্বিতীয় দফায় তুরস্কে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অভিবাসীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৬
দ্বিতীয় দফায় তুরস্কে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অভিবাসীদের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চুক্তি অনুযায়ী গ্রিস থেকে দ্বিতীয় দফায় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। পুলিশি তত্ত্বাবধানে বাস যোগে তাদের প্রথমে গ্রিক দ্বীপগুলোয় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর নৌকা বা ছোট আকৃতির জাহাজে তুলে সাগরপাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।

 

তবে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, এবারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন সিরীয় অভিবাসন প্রত্যাশীও রয়েছেন।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০ মার্চের পর অবৈধভাবে গ্রিসে পৌঁছানো অভিবাসন প্রত্যাশীদের যারা আবেদন করবেন না বা যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে, তাদেরকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। আর প্রতি একজন সিরীয় অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানোর বিনিময়ে তুরস্কে অবস্থানরত ও আবেদন করেছেন, এমন একজন সিরীয়কে ইউরোপে পুনর্বাসন করা হবে।

এর আগে গত সোমবার (০৪ এপ্রিল) প্রথম দফায় দুইশ অভিবাসীকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়, যার বেশিরভাগই পাকিস্তানি নাগরিক।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোগান বলেছেন, তার দেশ ইইউ-এর সঙ্গে চুক্তি তখনই বাস্তবায়ন করবে, যখন শর্তগুলো পুরোপুরি মানা হবে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইইউ আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩ বিলিয়ন ইউরো (৮৯.১৫ টাকায় ইউরো হিসাবে ২৬ হাজার ৭৩৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা) দেবে তুরস্ককে। সেই সঙ্গে চলতে বছরের জুন মাসের শেষ নাগাদ ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলে তুর্কি নাগরিকদের ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা ও ইইউ-এ তুরস্কের যোগদানের বিষয়টি এগিয়ে নিতে হবে।

আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় এরদোগান বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত আছে এই চুক্তিতে। যদি ইইউ সেগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তুরস্কও চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না।

এ ব্যাপারে অবশ্য যথেষ্ট আশাবাদী ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়া ও ২৮ জাতির এ ব্লকের শক্তিশালী অংশীদার জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আজ আমি খুব খুশি। যদিও আমি জানি, অনেকগুলো বিষয়ে কাজ করা এখনো বাকি।

এদিকে, অভিবাসীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ইইউ-এর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে পারছে না মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের মতে, তুরস্ক কিছুতেই নিরাপদ কোনো ভূখণ্ড নয়।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরো এক ধাপ এগিয়ে অভিযোগ করে বলেছে, তুরস্ক অনৈতিকভাবে ও জোরপূর্বক সিরীয়দের তাদের দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।