ঢাকা: বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনা সদস্যদের গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাংশ। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৬ জন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হান্ডওয়ারায় এক সেনা সদস্য এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করলে শহরজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা সেখানকার সেনাপোস্টে হামলা চালালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনারা গুলি চালান। এতেই ওই তিনজন নিহত হন। আর এরপর থেকেই আশেপাশের এলাকায়ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিক্ষোভকারীদের ওপর যে সেনারা গুলি চালিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় ‘দুঃখ’ প্রকাশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, দোষী প্রমাণিত হলে গুলি চালানো সেনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় শহরে অবস্থিত একটি সেনাপোস্টে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। এ সময় তারা অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেন এবং সেনাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। আর তখনই সেনাপোস্টটির দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা সদস্যরা গুলি চালান।
নিহত তিনজনের মধ্যে নাঈম ভট্ট অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এছাড়া মোহম্মদ ইকবাল ও রাজা বেগম (৭০) নামে আরো দু’জন সেনাদের গুলিতে নিহত হন।
এই তিনজনের মৃত্যুর পর বিক্ষোভ আরো উত্তাল হয়ে ওঠে। আশেপাশের এলাকায়ও তা ছড়িয়ে পড়ে। যেকোনো প্রকার সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয় হান্ডওয়ারায়। সেই সঙ্গে শহরটিতে কারফিউ জারি করা হয়। রাজধানী শ্রীনগরের একাংশেও কারফিউয়ের মতো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া হান্ডওয়ারা যে পোস্টে হামলা হয়েছে, সেটি খালি করে ফেলেছে সেনাবাহিনী।
এসব ঘটনায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উপত্যকা জুড়ে ধর্মঘট ডেকেছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
আরএইচ