ঢাকা: ২০১১ সালের পর এই প্রথম এতোটা প্রবলভাবে এবং বারেবারে কেঁপে উঠলো জাপানের কোনো এলাকা। এসব ভূমিকম্পে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিট থেকে ৬টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত পরপর পাঁচটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হোনশু। প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.১। সর্বশেষটি আঘাত হানে বাংলাদেশ সময় ৯টা ৩ মিনিটে।
এসব ভূকম্পনে প্রায় ১৬ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ ও ৩৮ হাজার বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ভূমিকম্পের পরপরই ৪০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এদের বেশিরভাগই রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে পুরো রাত পার করেছেন।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকাল পর্যন্ত ১৩০টি পরাঘাতে (আফটার শক) কেঁপে উঠেছে হোনশু ও কিউশু দ্বীপ। এসব এলাকায় কয়েকটি সক্রিয় পারমাণবিক চুল্লী থাকায় ভূমিকম্পে আরো আতঙ্ক ছড়ায়। এর মধ্যে সেন্দাইয়ে দু’টি চুল্লীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। আর গেনকাই কেন্দ্রে নিয়মিত নিরীক্ষার জন্য তিনটি চুল্লী বন্ধ রয়েছে। তবে প্রবল ঝাঁকি সত্ত্বেও চুল্লীগুলো অক্ষত থাকায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে কর্তৃপক্ষ।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, উদ্ধার ও পুনর্বাসনে ভূকম্পনে বিধ্বস্ত এলাকায় সহস্রাধিক পুলিশ, অগ্নি নির্বাপক কর্মী বাহিনী ও সেনা সদস্য পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৬
আরএইচ
** জাপানের ভূমিকম্পে নিহত ৯, আহত ২৫০