ঢাকা: দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমের দেশ ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাসের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রোববার (১৭ এপ্রিল) এ খবর দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলছে, ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর ৫টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শক্তিশালী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় শহর মুইসিন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার গভীরে। এ ভূমিকম্পের পর কিছুক্ষণ পর আরও দু’টি কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের পরপরই তৎক্ষণাৎ দেশটির উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে, ঘণ্টা দুই পর সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, সুনামির আশঙ্কা অনেকখানিই কেটে গেছে। তবে, দেশজুড়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী।
বিশ্বের বড় ভূমিকম্পগুলোর একটি ঘটেছে এই ইকুয়েডরেই। গত ১৩ জানুয়ারি ১৯০৬ সালে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূকম্পন হয় এখানে। ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার সমুদ্র উপকূলে সৃষ্ট এই সুনামিতে মারা যান পাঁচ শতাধিক মানুষ। আহত হন আরও দেড় হাজার। মধ্য আমেরিকা ও সানফ্রান্সিসকোতেও অনুভূত হয় এই ভূমিকম্প। যার প্রভাবে হাওয়াইয়ের নদীগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬/আপডেট ১১১৭ ঘণ্টা
আইএ/টিআই/এইচএ