ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৩০ জুনের মধ্যে রিজার্ভের বড় অংশ ফেরত দিতে চায় ফিলিপাইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
৩০ জুনের মধ্যে রিজার্ভের বড় অংশ ফেরত দিতে চায় ফিলিপাইন

ঢাকা: নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিলিপাইনের আদালত। ক্যাসিনো মালিক কিম ওং চুরি যাওয়া রিজার্ভের যে অংশ দেশটির অর্থপাচার বিরোধী কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে জমা দিয়েছেন সে অর্থ সংরক্ষণের জন্য এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


এদিকে দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগামী ৩০ জুনের আগেই উদ্ধার করা অর্থ বাংলাদেশকে দিয়ে দিতে চায় তারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
তবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আসতে আরও সময় লাগবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।     
আগামী ২ মে নির্বাহী বিচারক রেনাল্ডো এ. আলহামব্রার আদালতে ম্যানিলা রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্টে কিম অংয়ের ফেরৎ দেওয়া অর্থ সংরক্ষরণ করার বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এ শুনানির মানেই হচ্ছে ফিলিপিনো আদালত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।  
এদিকে দেশটির সিনেট প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোর রাফ রেকটো বলেছেন তাদের সরকার যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের চুরি যাওয়া রিজার্ভের যতটা উদ্ধার করা গেছে তা ফেরত দিতে চায়।  
আগামী ৩০ জুন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট একুইনো। সিনেট প্রেসিডেন্ট রেকটো মনে করছেন, ওই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে অর্থ ফেরত নেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট একুইনো তার ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে যাওয়ার আগেই উদ্ধার হওয়া সকল অর্থ এর সঠিক মালিকের হাতে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ’
তবে এর আগেই এএমএলসি কে উদ্যোগী হয়ে একটি অধিকারহানির মামলা দায়ের করতে হবে। আর সে বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও নিশ্চিত করতে হবে।
আর এ পর্যায়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে পড়তে হবে বাংলাদেশ সরকারকেও। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দেশের আদালতের কাছে ওই অর্থের মালিকানা দাবি করতে হবে। যাতে আদালত বাংলাদেশকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে।
এই কাজটি যথাসময়ে করতে ব্যর্থ হলে পুরো অর্থ ফিলিপাইন সরকারের সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হবে।
তবে ফিলিপাইনের অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তারা এই দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া বিষয়টিকে বিলম্বিত করবে বলেই মনে করছেন। তারা বলছেন কিম অং যেহেতু স্বেচ্ছায় ওই অর্থ ফেরত দিয়েছেন আর তা বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার জন্য কেউ বাধাও দিচ্ছে না, তাই সহজেই এটা সম্ভব।
রেকটো এও বলেছেন, ৩০ জুনের মধ্যে পুরো অর্থ দেওয়া না গেলেও একটি উল্লেখযোগ্য পরিমান অর্থ বাংলাদেশকে তারা ফেরত পাঠাতে চান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কিস্তিতে কিস্তিতেও অর্থ ফেরত দেই, তাহলে তার প্রথম কিস্তিটি বেশ বড়ই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এটি/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।