ঢাকা: দর্শক ও পাঠক শ্রেণীর সব অংশের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চায় বিবিসি। আর এর অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যেই বিবিসির অর্ধেক কর্মীই হবে নারী আনুষ্ঠানিকভাবে এমন ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মূলত অানুপাতিক হারে প্রতিষ্ঠানে সমাজের সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের অংশ হিসেবে বিবিসি’র এই উদ্যোগ বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য নারীদের কোটা পূরণের যে টার্গেট তার সিংহভাগ ইতোমধ্যেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে বিবিসির কর্মীবাহিনীর ৪৮.৪ শতাংশ নারী। কর্তা পর্যায়েও নারী রয়েছেন ৪১.৩ শতাংশ। পাশাপাশি ২০২০ সালের মধ্যে কর্মী বাহিনীর ১৫ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু হবেন বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে গণমাধ্যমটি।
বিবিসির নজরের বাইরে নেই শারীরিক প্রতিবন্ধী, সমকামী, তৃতীয় লিঙ্গও। জানা গেছে, ২০২০ সালের মধ্যে বিবিসির জনবলের কমপক্ষে ৮ শতাংশ হবেন শারীরিক প্রতিবন্ধী, সমকামী, উভকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গের কর্মীরা।
বিবিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে বিবিসির কর্মীবাহিনীর অর্ধেকের কাছাকাছি নারী। এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় বংশোদ্ভূত এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বও অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বিবিসির এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই উৎফুল্ল অধিকার সংগঠনগুলো। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা ব্রিটিশ এনজিও স্কোপের প্রধান মার্ক অ্যাটকিনসন বিবিসির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা খুবই ইতিবাচক যে বিবিসি এবং চ্যানেল ৪ এর মত সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের জনবলের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার অঙ্গীকার করেছে।
অনেক প্রতিভাবান ও মেধাবী প্রতিবন্ধী অভিনেতা কিংবা সঞ্চালকের সঙ্গে আমরা কাজ করি যারা একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু এই জগতে সফলতা পেতে একজন প্রতিবন্ধীকে খুবই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। পাশাপাশি তাদের জন্য সুযোগটাও খুব সীমিত। বিবিসির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে তাদের জন্য একটা বড় সুখবর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৬
আরআই