ঢাকা: দুনিয়ায় কত উদ্ভুত ঘটনাই না ঘটছে প্রতিদিন। তাই বলে গর্ভবতী মায়ের পেট কেটে বাচ্চা ছিনতাই! হ্যাঁ, সে ঘটনাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
মামলার প্রসিকিউটরের ভাষ্যমতে, মিশেল উইলকিন্স সাত মাসের গর্ভবতী এক নারী। নিজের এবং অনাগত কন্যা সন্তানের জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে পোশাক কিনতে ডেনভের থেকে লংমন্টে এসেছিলেন ডায়নেল লেইনের বাসায়। অতঃপর অভূতপূর্ব ভয়ংকর হামলার শিকার হলেন উইলকিন্স। লেইন তাকে একা পেয়ে সহকারীকে একজনের সহায়তায় উইলকিন্সের ওপর হামলে পড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জরায়ু কেটে পেটের বাচ্চা বের করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় উইলকিন্স মারা যান। ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে।
পরে ২৬ বছর বয়সী উইলকিন্সকে একটি কক্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ, নাজুক শারীরিক অবস্থা ও নিজের অবস্থানের কথা জরুরি নাম্বারে (৯১১) কল দিয়ে অবগত করেন তিনি। জরুরি বিভাগের কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে লংমন্ট ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করান। পরবর্তীতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কোনো এক দক্ষ হাতে উইলকিন্সের পেটের বাচ্চা অপসারণ করা হয়েছে। ’
ডায়নেল লেইন নার্স থাকার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। লেইন বলেন, ‘শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, পেট থেকে বাচ্চা সরানোর সময় উইলকিন্সকে হত্যা করা হয়েছে। ’
এদিকে, শুক্রবার আদলাতের শুনানিতে লেন কোনো কথা বলেননি। তার মা ক্যারোল ডি হেরেরা জানান, এক দুর্ঘটনায় লেন তার পুত্র সন্তানকে হারান। তারপর থেকে তিনি একটি শিশুর জন্য বেপরোয়া ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
টিআই