ঢাকা: গত এক যুগের মধ্যে ২০১৫ সালে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন সূচকে অবস্থান করছে বলে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এছাড়া রাজনীতি, অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের কারণ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। তথ্যের স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, কখনো কখনো সাংবাদিক এমনকি সম্পাদককে হয়রানি করা হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে, অনেকে খুনও হচ্ছেন।
রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডারস (আরডব্লিউবি) নামে ফ্রান্স ভিত্তিক আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দায়িত্বপালনের সময় বা সংশ্লিষ্ট কাজে ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী ১১০ সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আর ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭৮৭ সাংবাদিক।
আরডব্লিউবি জানায়, ১১০ সাংবাদিকের মধ্যে ৪৯ জন ‘টার্গেট’ হত্যাকাণ্ডের শিকার, ১৮ জন দায়িত্বপালনকালে খুন হয়েছেন, ৪৩ জনের হত্যার পেছনে কোনো কারণ জানা যায়নি।
প্রকাশিত রিপোর্টে কাজের জন্য সবচেয়ে ‘প্রাণঘাতী’ হিসেবে চিহ্নিত শীর্ষ পাঁচ দেশ হিসেবে ইরাক, সিরিয়া, ফ্রান্স, ইয়েমন ও দক্ষিণ সুদানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে সাংবাদিক হত্যার ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বছরের ৭ জানুয়ারি ‘শার্লে হেবদো’ হামলাকে। সন্ত্রাসী ওই হামলায় ১২ জনের প্রাণহানি হয়, যার মধ্যে ৮ জনই ছিলেন সাংবাদিক।
এছাড়া জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) কর্তৃক জাপানি সংবাদিক কেনজি গোতোর শিরচ্ছেদের ঘটনাও উঠে এসেছে প্রকাশিত রিপোর্টে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৬
জেডএস