ঢাকা: ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার চুরি করলে সেটা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে না। আলোচিত এ আদেশ দিয়েছেন ইতালির সর্বোচ্চ আদালত।
২০১১ সালে খাবার চুরির একটি মামলায় রোমান অস্তিরিয়াকভ নামে এক ব্যক্তিকে নিম্ন আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওই মামলায় ২০১৫ সালে নিম্ন আদালতের দেওয়া ছয় মাসের কারাদণ্ড ও একশ’ ডলার অর্থদণ্ডাদেশও বাতিল করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনিয়ান বংশোদ্ভূত অস্তিরিয়াকভ ২০১১ সালে গেনোয়া সুপারমার্কেট নামে একটি দোকান থেকে দুই পিস চিজ ও এক প্যাকেট সস কেনেন। কিন্তু তিনি দোকানের কর্মীদের দেন ব্রেডস্টিকসের মূল্য।
বিষয়টি নজরে এলে ওই দোকানের কর্মীরা তাকে আটক করেন। পরে এ ঘটনায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়।
চার বছরের বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ২০১৫ সালে আদালত চুরির দায়ে অস্তিরিয়াকভকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও একশ’ ইউরো অর্থদণ্ড দেন।
এরপর অস্তিরিয়াকভের পক্ষে ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে একটি আবেদন করা হয়। একবছরের মধ্যেই সর্বোচ্চ আদালত এ আদেশ দিলেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে দেহে পুষ্টি দরকার বলে এই খাবার নিয়েছেন অস্তিরিয়াকভ। সুতরাং এটা অপরাধ ছিল না।
আদালত আরও স্পষ্ট করে তার রায়ে বলেন, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিমাণ খাবার চুরি প্রচলিত সংগঠিত অপরাধ নয়।
এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ মন্তব্য করে ইতালির মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই আদেশ সঠিক এবং যথাযথ। পশ্চিমা দেশগুলোকে এই আদেশ থেকে ধারণা নেওয়া উচিত। এটাই সত্যিকার অর্থের মানবতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এইচএ/