ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ অর্থাৎ শেষ দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার (০৫ মে)। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাজ্যের দুই জেলার ২৫টি আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা।
নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন বিলুপ্ত হওয়া ছিটমহলের বাসিন্দারা। এ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের ৯টি ও পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনে মোট ১৭০ প্রার্থী রয়েছেন। এই দুই জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ লাখের বেশি।
৪ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিধান সভার নির্বাচন শুরু হয়। গত সব ক’টি পর্বের মতো শেষ দফাতেও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন।
দুই জেলার বিভিন্ন আসনের কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। চলছে টহলদারি ও তল্লাশি। নামানো হয়েছে ৩৮ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এছাড়াও থাকছে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ। ৬০০টি মোবাইল ভেহিকেল টহল দিচ্ছে এসব নির্বাচনী এলাকায়।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
একই সঙ্গে নির্বাচন চলছে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনের তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর ও এগরা কেন্দ্রে।
তবে কোচবিহারে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর মানেই রাজ্যের পালা বদলের জেলা। আবার স্বাধীনতার পর প্রথম ভোট দেবেন কোচবিহার সংলগ্ন ছিটমহলের ৯ হাজার ৭৭৬ জন ভোটার।
২০১১ এর নির্বাচন ও তার পরবর্তী সময়ে দুই জেলাতেই বামেদের সংগঠন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ে। কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের খানিকটা সংগঠন থাকলেও, সাবেক ফব নেতা উদয়ন গুহ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সেই সংগঠনেও ব্যাপক ফাটল দেখা দেয়।
ওই নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১১ সালে এ দুই জেলার ২৫টি আসনের মধ্যে ২০টি পেয়েছিল মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে এ দফায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি খুব একটা বড় ফ্যাক্টর নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট খানিকটা বেড়েছিলো গেরুয়া শিবিরের।
কোচবিহারে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি একটা ফ্যাক্টর। সেক্ষেত্রে বিজেপির ভোট কোন দিকে যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।
আসছে ১৯ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৬
এমএ/