ঢাকা: ভারতের মধ্যপ্রদেশের মন্ডলা জেলা। এ জেলায় বিধবা নারীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
কারণ হিসেবে জানা যায় ওই জেলায় গোন্ড নামে এক আদিবাসীদের বাস। আর বাপ দাদাদের রেখে যাওয়া দিকনির্দেশনা মেনেই তারা এই রীতিনীতি মেনে চলেন।
ওই আদিবাসীদের রীতি অনুসারে কোনো পরিবারের যদি কোনো নারী বিধবা হন তাহলে ওই নারীকে বিয়ে দেওয়া হয় অবিবাহিত পুরষের সঙ্গে। আবার তাদের ‘পাতো’ প্রথা অনুযায়ী- যদি ওই নারী বিয়ে করতে রাজি না হন তাহলে তাকে রুপার চুড়ি উপহার দিয়ে নিজের সংসারে আশ্রয় দেন অন্য কোনো নারী।
তাদের মধ্যে আরও বেশকয়েকটি প্রথার প্রচলন রয়েছে। যেমন ‘নাতি পাতো’ প্রথা, ‘পঞ্চ পাতো’ প্রথা ইত্যাদি।
নাতি পাতো প্রথা অনুযায়ী- যদি পরিবারের ঠাকুরমা বিধবা হন তাহলে নাতির সঙ্গে তার আবার বিয়ে দেয়া হয়। ঠাকুরমাকে বিয়ের পর নাতি বড় হলে নিজের পছন্দের মেয়েকে আবার বিয়ে করতে পারেন। তবে ওই নারী দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পান। আর ঠাকুরমা মারা যাওয়ার পর ওই নারী প্রথম পক্ষের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন।
এছাড়া ওই আদীবাসীদের রীতি অনুযায়ী বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার বউকে বিয়ে করতে পারেন ছোট ভাই। করতে পারেন ঘর সংসার।
তবে তাদের রীতি অনুযায়ী কোনো বিধবা নারী যদি বিয়ে করতে রাজী না হন তবে তাদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় না। তারা একা থেকেই বাকি জীবন চলার স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
আরএইচএস