ঢাকা: বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে ড্রোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ছে ওই সব অঞ্চলের মানুষরা। ইতোমধ্যে কম সময়ে সংবাদ গ্রহণের পাশাপাশি কোনো স্থানে আকাশ পথে পণ্য আনা-নেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এ ড্রোন।
আর এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ এই ড্রোনের কারণে কাজ হারাবেন অনেক মানুষ। অর্থ্যাৎ পরবর্তী চার বছরে কর্মজীবী মানুষের পকেটের ১২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার কেড়ে নেবে এই ড্রোন।
আরও পড়ুন: নিজ দেশেই বাস্তুহারা বিশ্বের ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ
সম্প্রতি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি’র এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পিডব্লিউসি জানায়, বর্তমান সময়ে মানুষের পকেট থেকে ড্রোন কেড়ে নিচ্ছে দুই বিলিয়ন ডলার। আর ২০২০ সাল নাগাদ এই অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১২৭ বিলিয়ন ডলারে।
পিডব্লিউসি আরও জানায়, একটি সময় আসবে যখন ড্রোন প্রতিদিনকার মানুষের সঙ্গী হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সেতু, বাড়ির ফাটল ইত্যাদি পর্যবেক্ষণসহ মেরামত করে মানুষ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন অর্থ উপার্জন করে। পরবর্তীতে এসব কাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়লে ওই অর্থ যাবে ড্রোনের পকেটে।
ড্রোন কাজ করবে কৃষিখাতে, বিমা খাতে, টেলিকম খাতে। এছাড়া এসব ড্রোন ব্যবহার করা হবে খননের ক্ষেত্রেও।
সংগঠনটির দেওয়া তথ্য মতে অবকাঠামোগত কাজ থেকে ড্রোন আয় করবে ৪৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, কৃষিখাত থেকে ৩২ দশমিক ৪, পরিবহনখাত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার, নিরাপত্তা জনিত খাত থেকে ১০ বিলিয়ন, গণমাধ্যম থেকে ৮ দশমিক ৮, বিমা থেকে ৬ দশমিক ৮, টেলিকম থেকে ৬ দশমিক ৩ এবং খনন থেকে চার দশমিক চার বিলিয়ন ডলার। আর এ সব অর্থ ড্রোনের পকেটে ঢুকবে ২০২০ সাল নাগাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
আরএইচএস/আরআই