ঢাকা: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ অভিযোগ করেছেন, সিনেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা অভিশংসনের প্রক্রিয়া নয়, বরং অভ্যুত্থান (ক্যু)।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের বাইরে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৬৮ বছর বয়সী রৌসেফ ২০১১ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিলেন। সিনেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার ভোট পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে রৌসেফের বামপন্থি দল ওয়ার্কার্স পার্টির দীর্ঘ ১৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো।
ব্রাজিলের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট রৌসেফ দাবি করেন, তিনি আইনি ও রাজনৈতিক প্রহসনের শিকার।
রৌসেফ বলেন, কোনো ধরনের অপরাধ না করেও যখন একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বরখাস্ত হন, তখন সেটাকে অভিশংসন বলা যায় না, বরং ক্যু বলতে হয়।
ব্রাজিলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট ইনাসিও লুলা ডি সিলভার উত্তরসূরী হয়েও পরবর্তীতে তারই সমালোচনার শিকার হওয়া এ নারী রাজনীতিক বলেন, আমি হয়তো ভুল করতে পারি, কিন্তু কোনো অপরাধ করিনি।
তিনি বলেন, গত দশকে আমরা যে সফলতা লাভ করেছি, এই ক্যু সেই সফলতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ায় গর্বের কথা জানিয়ে রৌসেফ বলেন, সারাজীবন আমি গণতন্ত্রের জন্য লড়েছি। জয়ীও হয়েছি। এবারও আমি লড়াই চালিয়ে যাবো।
এর আগে, বুধবার (১১ মে) অভিশংসন প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন দিলমা রৌসেফ। কিন্তু সে আবেদনে সিনেটের সমর্থন না থাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াতেই হচ্ছে তাকে।
এরই মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট টিমার দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মধ্য ডানপন্থি পিএমডিবি পার্টির এই নেতা নতুন সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার ব্রাজিলের কয়েক দশকের অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন টিমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৬
এইচএ/
**ক্ষমতা ছাড়তেই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট রৌসেফকে