নানা কথায় নিজেকে বিতর্কিত করে তুলে এখন মিডিয়াকেই দুষছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। মিডিয়াকেই যেনো বড় শত্রু বলে মনে করছেন।
গত ক’মাসে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে বার বার মিডিয়ার ওপর চড়াও হয়েছেন তিনি। সভা-সমাবেশ বক্তৃতায়তো বটেই, নিজের টুইটারে অন্তত হাজার খানেক টুইট রয়েছে যাতে কোনও না কোনও মিডিয়াকে আক্রমণ করেছেন এই বিজনেস টাইকুন রাজনীতিক।
সিএনএন নিউজ প্রোগ্রামকে স্রেফ বর্জ্য বলতে ছাড়েননি। আর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) কে বলেছেন মিথ্যুক। এপির রিপোর্টারদের সবচেয়ে ফালতু বলেছেন, তাদের রিপোর্টিংয়ে সততা বলে কিছু নেই বলেই তার মত। আর রয়টারসকে পেশাদারিত্ব থেকে অনেক দূরের বলেই তার মনে হয়েছে। এগুলোর রিপোর্টিং ভুল ও ভয়ঙ্কর। আর এগুলো তাদের পথ হারিয়েছে। এখন আর মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এপিকে বলেছেন, ওদের প্রত্যারণামূলক স্টোরি লেখা বন্ধ করা উচিত।
সিএনবিসিকে ট্রাম্পের কাছে স্রেফ ক্রেজি মিডিয়া মনে হয়েছে। ভোটার সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে যা খুবই দুঃখজনক আর স্রেফ ফালতু একটি মিডিয়া।
সিএনএন এতটাই নেতিবাচক যে দেখাই যায় না। এর প্যানেলটা ভয়ঙ্কর, সবাই যেনো ক্রুদ্ধ। সত্যিই এদের রিপোর্টিং অসত্য আর একপাক্ষিক। দুঃখজনক আর প্রশ্ন হচ্ছে- রাজনীতি বোঝে এমন কর্মী সিএনএন কবে পাবে। ওরা আমাকে ঠিক ঠিক কভার করছে না। ওরা কি সঠিক বিষয়গুলো খুঁজেই পায় না, বলেন ট্রাম্প।
ফোরবস এখন একটি ব্যর্থ ম্যাগাজিন। সার্কুলেশন শুধুই কমছে।
ফক্স নিউজ পুরোই পক্ষপাতমূলক আর ফালতু রিপোর্টিং করছে। ঘোষকদের ক্ল্রাউন ছাড়া কিছুই মনে হয় না। এখানে নেতিবাচক লোকগুলোই কাজ করে। এটিই একমাত্র নেটওয়ার্ক যারা আমার সেরা সাফল্যটি নিয়েও রিপোর্ট করেনি। স্রেফ বালসুলভ এদের লেখালেখি। আমাকে এত খারাপভাবে উপস্থাপন করছে, যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। যে কোনও মিডিয়াই ফক্সনিউজের চেয়ে আমার কাছে ভালো মনে হয়। ফক্সনিউজকে নিজের জন্য নিজেই লজ্জিত হওয়া উচিত। এদের আমার খুব একটা পেশাদার মনে হয় না।
হাফিংটনপোস্ট’র উচিত প্রতারণামূলক রিপোর্টগুলো পাল্টে ফেলা। এটির এখন পতন শুরু হয়েছে। ওরা আমাকে নিয়ে স্রেফ খারাপ স্টোরিগুলোই লেখে।
টেলিভিশন শো মিট দ্য প্রেস পুরোই পক্ষপাতমূলক আর প্রায় সবই মিথ্যা। এরা অসৎ, ভীষণ অসৎ। এদের রেটিং ভয়াবহ।
টিভি শো মর্নিং জো ক্রমেই তার রঙ হারাচ্ছে। ট্র্যাকের বাইরে চলে গেছে, এই শো দেখা স্রেফ সময় নষ্ট। ভীষণ ফালতু।
ন্যাশনাল রিভিউ ম্যাগাজির দিন শেষ এখন মৃতপ্রায়। বছর বছর কেবল গচ্ছা দিয়ে যাচ্ছে। খুব কম মানুষই এখন এটা পড়ে। এই ম্যাগাজিনটি তার পথ হারিয়েছে।
দ্য নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ একটি মূমূর্ষু ট্যাবলয়েড। এর পতন আসন্ন। মূল্যহীন, পুরোই ব্যর্থ, কেউ আর এটি পড়ে না। এটি মৃত।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ফালতু সংবাদপত্র। টানা মিথ্যা খবর দিয়ে যাচ্ছে। সবসময়ই ছোট করার চেষ্টা। ভীষণভাবেই এটি একটি পতিতপ্রায় পত্রিকা। আমাকে নিয়ে মিথ্যা খবরই দেয়। সত্যিই সংবাদপত্র জগতে এটি সবচেয়ে ফালতু। ওরা জেনেশুনে মিথ্যা লেখে। আর সত্য কি তা জানার জন্য কোনওদিন ফোনটা পর্যন্ত করে না। সত্যিই খারাপ কিছু লোক এখানে কাজ করে। আর অসৎ লোকগুলোকে দিয়ে বানোয়াট গল্প লেখায়। ওদের নিরপেক্ষ ভারসাম্যপূর্ণ রিপোর্টিংয়ে জোর দেওয়া উচিত। আর্টিকেলগুলো বিরক্তিকর। গত এক দশক ধরে এরা ফালতু সব গল্প লিখে চলেছে। এদের ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত অদক্ষ। এদের টিকে থাকতে হলে ভালোভাবে রিপোর্টিং করতে হবে।
পোলিটিকো পুরোই পথ হারিয়েছে। এতে খারাপ অসৎ সাংবাদিকগুলোই কাজ করে। এর ব্যবসাও পড়ে যাচ্ছে। ওরা বড় ক্ষতিতে পড়েছে শুনে ভালো লাগছে। ওদের অর্থও নাই বিশ্বাসযোগ্যতাও নাই। তৃতীয় শ্রেণির পত্রিকা, যার কোনও ক্ষমতাও নাই। এত অসৎ আর ঘৃণা ছড়ানোয় পারদর্শী। অনেকেই এখন আর এটি পড়েও না, পছন্দও করে না।
ভ্যানিটি ফেয়ার তার অতীতের সব যৌলুস হারিয়েছে। এটি এখন পতিত প্রায়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গণিতে কাচা। তারা সম্পাদকীয়তে কি বললো না বললো তা কেউ তোয়াক্কা করে না, বিশেষ করে আমি একেবারেই পাত্তা দেই না। এত ভুল খবরের পত্রিকা কদাচই দেখা যায়। ভীষণ অসৎ, আর উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার কথা ভুলভাবে উদ্ধৃত করে। সুতরং পুরোই ভূল আর মিথ্যার ওপর চলছে। আমাকে নিয়ে খারাপ কিছু লিখতেই যেনো ওদের ভালো লাগে।
ওয়াশিংটন পোস্ট অসত্য খবর দিচ্ছে। অসৎ রিপোর্টিং করে যাচ্ছে। এর কোনও ভবিষ্যত নেই।
বাংলাদেশ সময় ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৬
এমএমকে