ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অনলাইনে এসে ২০ বছর পর লাভের মুখ দেখলো ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
অনলাইনে এসে ২০ বছর পর লাভের মুখ দেখলো ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’

ঢাকা: চলতি বছরের মার্চে মুদ্রণযন্ত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে অনলাইনে হাঁটা শুরু করে যুক্তরাজ্যের তিন দশকের পুরনো সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’। তার আগে কাগজের পথে এতটা পথ হেঁটেও গত দুই দশকে লাভের মুখ দেখতে পারেনি ব্রিটেনে মূলধারার এবং প্রথম সারির এই পত্রিকাটি।

তবে শেষ পর্যন্ত অনলাইনই ভরসা।

 

পত্রিকার ওপর ঘনিয়ে আসা লোকসানের কালো মেঘের ছায়া তারা কাটালো অনলাইনে ভর দিয়েই। কাগজ থেকে অনলাইনে যাওয়ার মাধ্যমেই ২০ বছর পর সম্প্রতি লাভের মুখ দেখছে পত্রিকাটি।
 
একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ফেব্রুয়ারিতে তাদের সাইটে মোট ইউনিক ভিজিটর ছিল ১৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন অর্থাৎ এক কোটি ৫৮ লাখ। কিন্তু জুন মাসে তা ছাড়িয়ে দুই কোটিতে পৌঁছেছে।
 
কমস্কোর নামে ওই জরিপ প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, যুক্তরাজ্যে দুই কোটি ৬০ লাখ ভিজিটর নিয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশটির অন্যতম অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অনলাইন’। দুই কোটি ৪০ লাখ ইউনিক ভিজিটর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’। এ দিক থেকে বলা যায় ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
 
জরিপ প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, প্রতিবছর ৪১ শতাংশ করে বেড়ে চলছে পত্রিকাটির ভিজিটরের সংখ্যা।
 
অনলাইন এই পত্রিকাটির অফিসিয়াল ফেসবুকে লাইকের সংখ্যা ৫০ লাখ যেখানে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এ লাইকের সংখ্যা ১৩ লাখ।
 
এদিকে এই পাঠক বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে পত্রিকাটির আয় বেড়ে চলছে তরতর করে। ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ জানায় বিজ্ঞাপন থেকে প্রতি বছর ৪৫ শতাংশ করে বেড়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটির আয়।
 
প্রথাগত ছাপা পত্রিকা থেকে অনলাইন ভার্সনে আসাতেই তাদের এ আয় উন্নতি। মুনাফার মুখ দেখার কারণ হিসেবে পত্রিকাটি জানিয়েছে অনলাইনে আসায় তাদের নেই ছাপা বা বিলি করার খরচ। সেইসঙ্গে আগের চাইতে কম বেতনে বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দিতে পারছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে তরুণদের আনাগোনা বাড়ছে সেখানে।
 
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, এখন তারা দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন।
 
পত্রিকাটির মালিক এভগেনি লেবেদেফ বলেন, অনলাইনে আসায় মুদ্রণ অবকাঠামো থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছি। প্রথম ছয় মাসের সাফল্যে আমরা অভয় পেয়েছি। এখন আমরা বিশাল পাঠকদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
 
১৯৮৬ সাল থেকে এই দৈনিক পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে আসছিলো। পত্রিকাটি যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলো তখন এর দৈনিক প্রচার সংখ্যা ছিলো চার লাখের মতো। কিন্তু পত্রিকাটির ছাপার সংস্করণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পূর্বে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছিলো মাত্র ৪০ হাজারে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
আরএইচএস/আরআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।