ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভোটের ফল চ্যালেঞ্জের পরামর্শ হিলারিকে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
ভোটের ফল চ্যালেঞ্জের পরামর্শ হিলারিকে!

হিলারি ক্লিনটন ক্যাম্পেইন হয়তো ভাবছে না, তবে এক দল কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও নির্বাচন কৌঁসুলিরা এমনটাই মনে করছেন যে, গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারির যে হার হয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো তথ্য উপাত্ত রয়েছে।

ঢাকা: হিলারি ক্লিনটন ক্যাম্পেইন হয়তো ভাবছে না, তবে একদল কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও নির্বাচন কৌঁসুলিরা এমনটাই মনে করছেন যে, গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারির যে হার হয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো তথ্য উপাত্ত রয়েছে।

তারা বলছেন, তাদের হাতে এমন প্রমাণ রয়েছে যে তিনটি ব্যাটলগ্রাউন্ডেই নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে আগে কিছু বিষয়ে আপোস করা হয়েছে।

না হলে ফল হিলারির পক্ষেই আসতে পারতো।

নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের গ্যাব্রিয়েল শেরমান বলেছেন, উইসকন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে কিছু ঝামেলা ছিলো যা হিলারির জন্যই ক্ষতি ডেকে এনেছে।

বিশ্লেষকরা দেখিয়েছেন উইসকনসিনে হিলারি ৭ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন সেই সব কাউন্টিতে যেখানে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনেই ছিলো নির্ভরতা। আর যেসব কাউন্টিতে অপটিক্যাল স্ক্যানার ও পেপার ব্যালট দিয়ে ভোট হয়েছে সেগুলোতে তার ভোটই বেশি ছিলো। এই হিসাবটা দেখাচ্ছে সব মিলিয়ে ওইসব কাউন্টিতে হিলারি অন্তত ৩০ হাজার ভোট বঞ্চিত হয়েছেন, আর এই রাজ্যে তিনি হেরেছেন ২৭ হাজার ভোটে।

নির্বাচনে জয়ী হতে এই তিনটি রাজ্যেই হিলারির জয় প্রয়োজন ছিলো। উইসকনসিন ও পেনসিলভানিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের দখলে গেছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে। এ দুটি রাজ্যে তার জয় ছিলো সবচেয়ে কম ব্যবধানে। মিশিগান অবশ্য ট্রাম্পের দিকেই ঝুঁকে ছিলো। আর এই তিনটি রাজ্যেই যদি হিলারির জয় হতো তাহলে প্রেসিডেন্সির জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্টোরাল কলেজ পেতে মোটেই বেগ পেতে হতো না।  

যারা বিষয়গুলো হিসাব নিকাশ করছেন তারা খুব একটা জনসমক্ষে তা বলছেন না, তবে ক্লিনটন ক্যাম্পেইনের সামনে গত সপ্তায় তাদের তথ্য-প্রমাণ হাজির করেছেন। আর ক্লিনটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন সহযোগী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ক্লিনটন ক্যাম্পেইন এ বিষয়ে কিছুই বলেনি।

তবে যারা এসব কথা বলছেন, তাদের কাছে ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাকড হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই, স্রেফ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে কিছু একটা ঝামেলা অবশ্যই ছিলো।

আর ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিয়েও উঠেছে নানা কথা। বলা হয় এই ব্যবস্থা মূলত অপেক্ষাকৃত ছোট ও দূরের রাজ্যগুলোর জন্য উপযোগী। আর হিলারি ক্লিনটন গত ১৬ বছরে দ্বিতীয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী যার পপুলার ভোটে জয়ের পরেও ইলেক্টোরাল কলেজের কারণে হার হলো।  

এ অবস্থায় সমর্থকদের কেউ কেউ বলছেন হিলারির আসলে পুনর্গণনা ও ফরেনসিক অডিটের দাবি তোলা উচিত। আর অন্য কেউ আবার এও বলছে, যা হওয়ার হয়েছে, হিলারির উচিত এসব এড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এমএমকে

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।