ঢাকা: কয়েক সপ্তাহ ধরে নানা গুঞ্জন-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান (চিফ অব আর্মি স্টাফ-সিওএএস) পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। একইসঙ্গে চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি) পদে নিয়োগ দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুবায়ের হায়াতকে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর এক আদেশে তাদের এ নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের ফলে দু’জনেই চার-তারকা জেনারেল র্যাংকে পদোন্নতি পেলেন। আগামী মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুই কর্মকর্তা তাদের দায়িত্বগ্রহণ করবেন। সেদিন অবসরে যাবেন বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ ও তার সিজেসিএসসি।
এ দুই লে. জেনারেলকে দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী বাহিনীর শীর্ষ দুই পদে বসানোর আগে বিদায়ী সেনাপ্রধান রাহিল শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে রাহিলের মতো জাবেদ বাজওয়াও প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের আস্থাভাজন। সেজন্য সেনাপ্রধান হওয়ার দৌঁড়ে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুবায়ের মেহমুদ হায়াত (যিনি সিজেসিএসসি), মুলতান কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইশফাক নাদিম আহমেদ, বাহাওয়ালপুরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ ইকবাল রামদিরা থাকলেও অনেকটা অনালোচিত হয়েও নিয়োগ পেয়ে গেলেন।
জাতিসংঘ মিশনে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লে. জে. বাজওয়া বর্তমানে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেনাপ্রধান হওয়ার আগে এই পদে দায়িত্ব পালন করেন জেনারেল রাহিল শরিফও। বাজওয়া কমান্ড দিয়েছিলেন ১০ নম্বর কর্পসেরও। এই সর্ববৃহৎ প্রশাসনিক কর্পস ভারত সীমান্তের কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এইচএ/
** পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দৌড়ে যারা