ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্যাংকার-যুদ্ধজাহাজ সংঘর্ষ, ১০ মার্কিন নাবিক নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
ট্যাংকার-যুদ্ধজাহাজ সংঘর্ষ, ১০ মার্কিন নাবিক নিখোঁজ যুদ্ধজাহাজটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর সপ্তম নৌবহরের অংশ

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে তেলবাহী একটি ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুদ্ধজাহাজটির ১০ নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ নাবিক।

দক্ষিণ চীন সাগরের সিঙ্গাপুর উপকূলে মালাক্কা প্রণালীর অদূরে সোমবার (২১ আগস্ট) ভোর ৫টা ২৪ মিনিটে ইউএসএস জন ম্যাককেইন নামে ওই মিসাইল ডেস্ট্রয়ার বা ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজটির সঙ্গে আলনিক এমসি নামে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকারটির এ সংঘর্ষ হয়।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তুমুল উত্তেজনার মধ্যে এ সংঘর্ষের খবর এলো।

ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে স্থানীয় ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আর ১০ নাবিকের অনুসন্ধানে তৎপর হয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার, সিঙ্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী মালয়েশিয়ার নৌবাহিনী।  

মার্কিন নৌবাহিনী ও সিঙ্গাপুর সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, জাপানের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের ইয়োসুকা ঘাঁটি-ভিত্তিক সপ্তম নৌবহরের অংশ যুদ্ধজাহাজ জন ম্যাককেইন দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়ে সিঙ্গাপুর সমুদ্রবন্দরে ভেড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত প্রণালী মালাক্কা দিয়ে যাচ্ছিল লাইবেরিয়ার ওই তেলবাহী ট্যাংকার। দুর্ঘটনাবশত দু’টি নৌযানই সংঘর্ষে জড়ায়।  

এতে যুদ্ধজাহাজ জন ম্যাককেইনের ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ (সাসটেইন ড্যামেজ) হয় এবং কিছু অংশে পানিও ঢুকে পড়ে তুমুল বেগে। যদিও মার্কিন নৌবাহিনীর দাবি, সংঘর্ষের পর যুদ্ধজাহাজটি তার নিজের ক্ষমতায় ফের চলছে এবং সিঙ্গাপুর সমুদ্রবন্দরের দিকেই যাচ্ছে।  

সপ্তম নৌবহরের অংশ যুদ্ধজাহাজগুলো মার্কিন মিত্রদের জলসীমায় ঘোরাফেরা করলেও জন ম্যাককেইন ঠিক কী জন্য সিঙ্গাপুর সমুদ্রবন্দরে আসছিল, এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারছে না সংবাদমাধ্যম। তবে সপ্তম নৌবহর দাবি করছে, নিয়মিত ‘পরিদর্শন কার্যক্রমের’ অংশ হিসেবেই যুদ্ধজাহাজটি সিঙ্গাপুর সমুদ্রবন্দরে আসছিল।

সাড়ে ৩ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীর কোনো যুদ্ধজাহাজের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার তৃতীয় নজির এটি। এর আগে, গত ১৭ জুন আরেক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ফিৎসজেরাল্ড ইয়োসুকা উপকূলে একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ৭ মার্কিন নাবিক নিহত হন। তারও আগে, গত ৯ মে কোরীয় উপদ্বীপ উপকূলে একটি ছোট মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় গাইডেড-মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস লেক চ্যামপ্লেইনের। সেখানেও ঘটে আহত হওয়ার ঘটনা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।