ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বুলেট ট্রেনে ভারত, সমুদ্রের তলদেশে ৭ কিমি. পথ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
বুলেট ট্রেনে ভারত, সমুদ্রের তলদেশে ৭ কিমি. পথ বুলেট ট্রেন-সংগৃহীত

মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনের অবকাঠামো নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আহমেদাবাদে এ কর্মযজ্ঞের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

বুলেট ট্রেনটির মাধ্যমে ভারতের পরিবহনখাতে বিপ্লব ও নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী পিযুশ গোয়াল।  

জানা যায়, ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলরুটের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ দশ হাজার কোটি রুপি।

যার মধ্যে ৮৮ হাজার কোটি রুপি সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেবে জাপান সরকার। যা ৫০ বছরে পরিশোধ করবে ভারত।  

দীর্ঘ এ বুলেট ট্রেনের রুটে ৪৬৮ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড (৯২ শতাংশ), ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল অতিক্রম করতে বুলেট ট্রেনের পড়ি দিতে হবে সমুদ্রের তলদেশে সাত কিলোমিটার পথ।

মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেনকে মোট ১২টি স্টেশন ধরতে হতে পারে। স্টেশনগুলো হলো- মুম্বাই, থানে, ভিরার, বইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, বারুচ, ভাদোদারা, আনান্দ, আহমেদাবাদ ও সাবারমতি। বুলেট ট্রেন যদি সবগুলো স্টেশন ধরে তবে মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটে সময় লাগবে প্রায় তিনঘণ্টা।

যদি মুম্বাই, ভাদোদারা, সুরাট ও আহমেদাবাদ স্টেশন ধরে তবে সময় লাগবে মাত্র দুইঘণ্টা ৮ মিনিট।

দেশটির রেলওয়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে তিনশ’ কিলোমিটার গতিতে চলবে বুলেট ট্রেন। প্রকল্পের আওতায় জাপান থেকে মোট ২৪টি ট্রেন আনা হবে। এর মাধ্যমে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে।

আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটে দ্রুতগতির এ বুলেট ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।