ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের পাচারের শঙ্কায় জাতিসংঘ-আইএমও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
রোহিঙ্গাদের পাচারের শঙ্কায় জাতিসংঘ-আইএমও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশু, ছবি: বাংলানিউজ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাচারের শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বসবাসের স্থান-ক্যাম্পগুলোতে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি।

এদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

পাচারের শঙ্কায় তারাই মূলত সবার আগে থাকে।

আইএমও’র এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিস লম বলেন, নতুন দেশে এসে অর্থনৈতিক সংকট, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে শরণার্থীদের। এছাড়া মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের অভাব তো রয়েছেই। এসব মানুষই বেশি পাচারের ঝুঁকিতে।

ক্যাম্পগুলোতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

ইতোপূর্বে সাগর পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গা পাচারের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকের প্রাণহানিও ঘটেছে। মূলত প্রলোভন দেখিয়ে তাদের থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

এদিকে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। ছবিসহ তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ এবং আইএমও বলছে, এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন প্রায় সোয়া চার লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে।

ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।