ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা গণহত্যায় সু চির ভূমিকা ‘বাজে’: কৈলাশ সত্যার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
রোহিঙ্গা গণহত্যায় সু চির ভূমিকা ‘বাজে’: কৈলাশ সত্যার্থী সু চির সমালোচনায় কৈলাশ সত্যার্থী

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞে’ দেশটির স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকারপ্রধান) অং সান সু চি’র ভূমিকায় ‘একেবারে হতাশ’ শান্তিতে নোবেলজয়ী ভারতীয় মানবাধিকারকর্মী কৈলাশ সত্যার্থী। 

তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা বিপর্যয় এই যুগের সবচেয়ে বড় সংকটের একটি। এই নিধনযজ্ঞে সু চি ও তার সরকারের ভূমিকা বাজে এবং অগ্রহণযোগ্য।

 

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে শিশু নির্যাতনবিরোধী এক প্রচারণায় অংশ নিয়ে সত্যার্থী এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে আমাদের সহযোগী সু চি’র যে ভূমিকা, তাতে পুরো নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী শ্রেণী ভীষণ হতাশ। এটা জানিয়ে আমরা তার কাছে চিঠিও লিখেছি।

রাজনীতির বাইরে এই মানবিক বিপর্যয় এ যুগের সবচেয়ে বড় সংকট। সু চি’র উচিত প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এই সংকট সামলানো— বলেন সত্যার্থী।

শিশু অধিকারের পক্ষে কাজ করে ২০১৪ সালে পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল জেতা সত্যার্থী চলতি মাসের শুরুতেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানান। একইসঙ্গে সম্প্রদায়টির প্রতি ‘লজ্জাজনক আচরণের’ নিন্দা করতে বলেন সু চিকে। তিনি সেসময় বলেন, পুরো বিশ্ব অপেক্ষা করছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অপেক্ষা করছে (সু চি’র নিন্দা জানানো দেখতে)।

গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস ও বর্বর অভিযানের মুখে এখন পর্যন্ত সোয়া ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে হত্যা করা হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি নিরীহ রোহিঙ্গাকে। এই নিধনযজ্ঞ বন্ধে শান্তিতে নোবেলজয়ীরা বারবার সু চি ও মিয়ানমার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ব্যর্থ হয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপের মুখে সম্প্রতি দেওয়া ভাষণে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ‘যাচাই বাছাই’ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেন সু চি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।