ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণে ইউরোপের প্রহরী উপগ্রহ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণে ইউরোপের প্রহরী উপগ্রহ সেন্টিনেল ৫-পি

পৃথিবীর বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ করতে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে রাশিয়ার প্লেসেৎস্ক কসমোড্রোম মহাকাশবন্দর থেকে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ২৭ মিনিটে মহাকাশের পথে যাত্রা করে উপগ্রহটি।

সমগ্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান পর্যবেক্ষণ ও এর পরিবর্তনের প্রবণতা রেকর্ড করবে ‘সেন্টিনেল ৫-পি’ নামক উপগ্রহটি। ইএসএ’র গবেষণা কার্যক্রম ‘কোপার্নিকাস আর্থ মনিটরিং প্রোগ্রামের’ একটি অংশ হচ্ছে ‘সেন্টিনেল ৫-পি’।

নেদারল্যান্ডের প্রযুক্তি ও নকশায় এ উপগ্রহটি তৈরি হয়েছে। আর তা উৎক্ষেপ করা হয়েছে রাশিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল রকেটযোগে।  

এর আগে কোপার্নিকাস প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আরও চারটি উপগ্রহ পাঠিয়েছিল ইএসএ। সবগুলো উপগ্রহেরই নামের শুরুতে ‘সেন্টিনেল’ অর্থাৎ প্রহরী আছে। এ উপগ্রহগুলোর কাজ মহাকাশ থেকে পৃথিবীর ভৌগোলিক জলবায়ু পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষি কাজ থেকে শুরু করে নগরায়ন বিষয়ক গবেষণায় সহায়ক সকল দরকারি তথ্য রেকর্ড করা।  সেন্টিনেল ৫-পিসেন্টিনেল উপগ্রহগুলো আকারে অন্যান্য কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর চেয়ে ছোট এবং কার্যক্ষমতাও সীমিত। তবে এবারের উৎক্ষেপিত ‘সেন্টিনেল ৫-পি’তে যুক্ত করা হয়েছে ‘ট্রোপোমি’ নামক এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। নেদারল্যান্ডের ন্যাশনাল মিটিয়রলোজিকাল এজেন্সির তৈরি এ প্রযুক্তি বৈশ্বিক বায়ুদূষণের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোর অবস্থান ও পরিমাণ রেকর্ড করবে। বায়ু দূষণের জন্য দায়ী গ্যাসগুলো হলো- নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ওজোন, ফরমালডিহাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, মিথেন ও কার্বন মনোঅক্সাইড। এসব গ্যাস আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করায় নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতেও প্রভাব রয়েছে এসব গ্যাসের।

জানা যায়, ‘ট্রোপোমি’  মারাত্মক গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেন শনাক্তকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞানী পল পালমার বলেন, মিথেন হলো কার্বন ডাইঅক্সাইডের ‘বখে যাওয়া ভাই’। এর স্বভাব খুবই অদ্ভুত। ১৯৯০ সালে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের উৎপাদন আশ্চর্যজনকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এসময় টানা সাত বছর এর উৎপাদন বন্ধ থাকার পর আবার উৎপাদন শুরু হয়।

এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আরও জানান, মিথেনের উৎপাদন কেন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তা বিজ্ঞানীরা এখনো ব্যাখ্যা করতে পারেনি। আশা করা হচ্ছে, ‘সেন্টিনেল ৫-পি’ এর ট্রোপোমির রেকর্ড করা তথ্য এর কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।