ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে নদীতে ভাসমান বুমরার দাদার মরদেহ উদ্ধার 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আহমেদাবাদে নদীতে ভাসমান বুমরার দাদার মরদেহ উদ্ধার  বুমরার দাদা সন্তক সিং। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্ভরযোগ্য বোলার জাসপ্রিত বুমরার দাদা সন্তক সিংয়ের (৮৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আহমেদাবাদের সবরমতি নদীতে ভাসমান বয়োবৃদ্ধ সন্তকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, অশীতিপর বৃদ্ধ সন্তক উধম সিং নগরের কিছা গ্রামের বাসিন্দা আহমেদাবাগে নাতি বুমরার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

কিন্তু বুমরার মা তার ছেলের সঙ্গে দাদাকে দেখা করতে দেননি।  

এরপর শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ নিয়ে আহমেদাবাদের বস্ত্রপুর থানায় একটি এফআইআর করা হয়। তবে পুলিশ ধারণা করছে, বুমরার দাদা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।  

সফল ব্যবসায়ী সন্তক সিংয়ের গুজরাটে তিনটি কাপড়ের কারখানা আছে। গত জুলাইয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, বুমরার মাকে তার দাদা বলেছেন, মরার আগে অন্তত নাতির সঙ্গে দেখা করতে চান এবং একবার জড়িয়ে ধরতে চান।  

উধম সিং নগরের সিনিয়র পুলিশ সুপার সদানন্দ জানান, সন্তক সিং গত ১ ডিসেম্বর বস্ত্রপুরে তার মেয়ের বাড়ি যান। একই এলাকাতেই তার ছেলের বউ ও নাতি থাকেন। সেখানে তিনি তার নাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। ৫ ডিসেম্বর সন্তকের নাতি জাসপ্রিত বুমরার জন্মদিন ছিল। এ কথা বলেই মেয়ের বাড়ি থেকে বের হন সন্তক।  

নিহতের মেয়ে রাজিন্দর পুলিশকে জানিয়েছেন, বুমরার মা দলজিত কাউর আহমেদবাদের একটি স্কুলে চাকরি করেন। নাতির সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার বাবাকে বুমরার সঙ্গে যোগাযোগের কোনো ফোন নম্বর পর্যন্ত দেননি দলজিত। এতে বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন সন্তক।  

দাদা সন্তকের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় বুমরায় ছিলেন হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছিলেন তিনি।  

এদিকে অশীতিপর সন্তকের মৃত্যুতে তার গ্রাম কছিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।