ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিশেষ আদালতে আদম পাচারকারীদের বিচার করবে মালয়েশিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
বিশেষ আদালতে আদম পাচারকারীদের বিচার করবে মালয়েশিয়া নৌকাযোগে পাচার হওয়া মানুষ। ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা: মানব পাচার বা আদম পাচার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সামাল দিতে কঠোর অবস্থানে এখন মালয়েশিয়া সরকার। এর অংশ হিসেবে তারা আদাম পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।

দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী জাহিদ হামিদির বক্তব্যে উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ সংবাদ জানিয়েছে।

বারনামাকে তিনি বলেন, এই বিশেষ আদালতটি প্রতিষ্ঠা করা হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হবে বলে কর্তৃপক্ষ দারুণ আশাবাদী।

পাশাপাশি এতে করে সাধারণ জনগণের মধ্যেও এ বিষয়ে সচেতনতা ও সাবধানতা বাড়বে।

মানবাধিকার সংস্থা ও মানব পাচারবিরোধী সংস্থাগুলো এ উদ্যোগে সমর্থন ব্যক্ত করে বলেছে, বিশেষ এই আদালতটি প্রতিষ্ঠিত হলে পাচারের শিকার মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়া এবং কালপ্রিটদের শাস্তির পথ প্রশস্ত হবে।

বারনামার রিপোর্টে বলা হয়, একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় আশা করা হচ্ছে সামনের মে মাসেই মধ্যাঞ্চলীয় সেলাংগর প্রদেশে এই বিশেষ আদালতটি স্থাপিত হবে। এরপর এই আদালতের শাখা প্রতিষ্ঠা করা হবে দেশের বাদবাকি অঞ্চলে। এই আদালতের জন্য আলাদা বিচারকও নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি শুধু এই আদালতের বিচারকাজেই নিয়োজিত থাকবেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি গৃহকর্মী ও শ্রমিকের জন্য বিদেশের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। উন্নত আর্থিক অবস্থার কারণে মালয়েশীয়রা এসব কাজ করতে মোটেই আগ্রহী নয়। তাই প্লান্টেশন ও নির্মাণকাজে পাশের দেশ ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ এশীয় দেশ নেপাল ও বাংলাদেশের শ্রমিকরাই মূলত নিয়োজিত। এদের একটা বড় অংশ আদম পাচারকারীদের মাধ্যমে অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করে থাকে।
 
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে নিবন্ধিত বিদেশি শ্রমিক আছে প্রায় ২০ লাখ। তবে অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোর দাবি, মালয়েশিয়ায় কর্মরত মোট বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা এর চেয়ে ঢের বেশি। দেশটিতে এই ২০ লাখের বাইরেও প্রচুর বিদেশি শ্রমিক কাজ করে যাদের কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই।
 তাদের দাবি, এসব শ্রমিক মানব পাচারকারীদের হাতে জিম্মি এবং ঋণের দুষ্ট জালে বন্দি। নিয়োগ কর্তারা এদেরকে পূর্ব-প্রতিশ্রুত ন্যায্য মজুরি দেয় না। এরপর এরা যেটুকু মজুরি পায় তার সিংহভাগই নিয়ে নেয় দালালরা।
বাংলাদেশ সময়:১৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।