ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

এইডসের মৃত্যু ঝুঁকিতে এশিয়ায় বাংলাদেশ দশম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এইডসের মৃত্যু ঝুঁকিতে এশিয়ায় বাংলাদেশ দশম

ঢাকা: মরণব্যাধি এইডসের কারণে মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ১০ম অবস্থানে রয়েছে। ২০১৬ সালে এ রোগে প্রায় ১ হাজার জনের প্রাণহানি ঘটে বাংলাদেশে। 

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইডসের ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে এ মরণব্যাধিতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।

২০১৬ সালে ৬২ হাজার লোক মারা গেছে। এ সময়ে এশীয় অঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে ২০১০ সালের তুলনায় তা কমেছে। ওই বছর এ রোগে মারা যায় ২ লাখ ৪০ হাজার।  

এশীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ দশমিক ১ মিলিয়ন এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে চিকিৎসার আওতায় এসেছেন ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ। নতুন এই প্রতিবেদনে চীন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।    

বৈশ্বিকভাবে আক্রান্তের দিক দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার পরই ভারতের অবস্থান। অর্থাৎ বিশ্বে ভারতের অবস্থান তৃতীয়।  

ইউএনএইডস-এর ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে অনুমান করা হচ্ছে চীনে এইচআইভির প্রভাবে ৪ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ নানা রোগে ভুগছেন। তবে এর কোনো সঠিক তথ্য-উপাত্ত নেই।  

জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ২০১৬ সালে ৩৮ হাজার জন মানুষের মৃত্যু হয়। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে।  

এ রোগে মানব মৃত্যুর দিক এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শ্যাম দেশ থাইল্যান্ড। ২০১৬ সালে দেশটিতে এইডসে আক্রান্ত হয়ে ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  

চতুর্থ ভিয়েতনাম। ওই সময়ে দেশটিতে মারা যায় ৮ হাজার মানুষ। মিয়ানমারে ৭ হাজার ৮০০ এবং মালয়েশিয়ায় এ সংখ্যা ৭ হাজার।  

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে পাকিস্তানে ৫ হাজার ৫০০, কম্বোডিয়ায় ১ হাজার ৮০০, নেপালে ১ হাজার ৭০০ এবং বাংলাদেশে ১ হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এইডসে।  

ফিলিপাইনে হাজারের কম আর লাওসে এ সংখ্যা পাঁচশ’র মতো। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ২০০ জনের মতো মারা গেছে, যা  মঙ্গোলিয়ায় ১০০-এর কোটায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।