ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতিতে বিভিন্ন শহরে তালেবানরা, বাড়ছে শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
যুদ্ধবিরতিতে বিভিন্ন শহরে তালেবানরা, বাড়ছে শঙ্কা ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতিতে ঈদ উদযাপনে আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তালেবান সদস্যরা। রোববার (১৭ জুন) মধ্যরাতে এ যুদ্ধবিরতি শেষ হবে। এ নিয়ে তৈরি হচ্ছে শঙ্কা।

এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।  

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াবে।

 

তিনি তালেবানকেও যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর আহ্বান জানান। সমালোচকরা ঘানির এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।

কিন্তু আফগান প্রেসিডেন্টের এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। তারা বলেছে, সূর্যাস্তের আগেই তাদের সদস্যরা সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশগুলো থেকে ফিরে আসবে।  

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের সাবেক প্রধান ও রাজনীতিবিদ আমারুল্লাহ সালেহ ঘানির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে তালেবান সদস্যদের প্রবেশের সিদ্ধান্ত একটি বড় ভুল। এসব জায়গায় তালেবান সদস্যরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।  

এদিকে একজন ঊর্ধ্বতন পশ্চিমা কূটনীতিক ঘানির এ সিদ্ধান্তকে সাহসী পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, তালেবানরা যুদ্ধবিরতি না বাড়িয়ে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা করলে কি হবে। তিনি আরও বলেন, এটি সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।  

এদিকে শনিবার আফগানিস্তানের নানগরহরে যুদ্ধবিরতি চলাকালে গাড়ি বোমা হামলায় ৩৬ জন নিহত হন। এর পাশেই আফগান ও তালেবান সদস্যরা অবস্থান করছিল।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিনুল্লাহ মুজাহিদ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে জানান, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর কোন ইচ্ছা তাদের নেই। সোমবার (১৮ জুন) থেকেই তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।  

দেশটির সরকারি দপ্তর এখনও যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট সময় জানায়নি।

এদিকে কাবুলে বসবাসরত পশ্চিমা কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে। এক পশ্চিমা কূটনীতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যুদ্ধবিরতিকে কাজে লাগিয়ে তালেবানরা বিদেশিদের ওপর আক্রমণ করতে পারে।  

তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের শহরগুলোতে কত সংখ্যক তালেবান আছে এটা অজানা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
এএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।