ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সরকার গঠনে ইমরানের তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
সরকার গঠনে ইমরানের তোড়জোড় ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠনে প্রস্তুতি শুরু করেছেন ইমরান খান। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। 

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করলেও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) সরকার গঠনের জন্য গড়তে হচ্ছে জোট। সেই জোট গঠনেরই তোড়জোড় শুরু হয়েছে দলটিতে।

  

রোববার (২৯ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে ইমরান নিজেই এমন তথ্য দিয়েছেন।  

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দেশটির সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআই জয়লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন, ইমরানের দল পিটিআইয়ের পক্ষে কাজ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।  

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ১১৫টি আসনে জয়লাভ করে সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে ইমরানের দল।  

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের জন্য ২৭২টি আসনে সরাসরি ভোট হয়। এরমধ্যে কোন দল ১৭২টি আসনে জয়লাভ করলে এককভাবে সরকার গঠন করতে পারে। কিন্তু ইমরানের দল সংখ্যাগরিষ্ঠ ১১৫ আসন লাভ করায়, জোট গঠন করতে হবে দলটিকে।  

এছাড়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের দল ৬৪টি আসন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪৩টি আসনে জয় পায়। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৩টি আসনে জয় পায়।  

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসলামাবাদে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ সাঈদ আহমেদ আল-মালিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইমরান খান। বৈঠকে তারা দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পিটিআই নেতারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইমরান তার দলের নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া পাঞ্জাবের সরকার গঠনের নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।  

সংবাদমাধ্যম বলছে, ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ জেহাঙ্গির খান তারিন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি দেখভাল করছেন। তিনি মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট পাকিস্তানের (এমকিউএমপি) নেতা খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।  

এর আগে সিদ্দিকী বহুদলীয় পার্টির সাক্ষাতে অংশহগ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। আর পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সভাপতি শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে আরো কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ সময় পুনরায় স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানান এসব দলের নেতারা।  

এছাড়া ইমরান খান খাইবার-পাখতুনখাওয়াতে সরকার গঠনের জন্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। খাইবার-পাখতুনখাওয়াতে ইমরানের দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছে। এখানে তার দল অনায়াসেই সরকার গঠন করতে পারবে।  

সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাত্তাককে প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইমরানের। তিনি ইমরানের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসেবে-ই পরিচিত।  

সাধারণ অধিবেশনের আগে ইমরান খান সরকার গঠনের প্রস্তুতির জন্য আরো তিন সপ্তাহ সময় পাবেন।  

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ এবং স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমপিরা শপথ নিয়ে নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসেবে ইমরান হবেন সংসদ নেতা এবং সরকারপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি গঠন করবেন মন্ত্রিসভা।

খবরে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৬, ১০ ও ১১ আগস্টের মধ্যে করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাতে ১৪ আগস্টের আগেই নতুন মন্ত্রিসভা অফিস করতে পারে এবং নতুন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১৫ আগস্ট উদযাপন হতে পারে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।