ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮
কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি, আইতজাজ আহসান ও ফজলুর রেহমান।

ঢাকা: চলছে পাকিস্তানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নতুন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নিজেদের মনোনীত প্রার্থীও দিয়েছে দেশটির প্রধান তিনটি দল। তবে প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইনের উত্তরসূরীকে হতে চলেছেন এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ, আলোচনা ও গুজব। 

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে স্থানীয় সময় বিকেল চারটা পর্যন্ত।

 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটির জাতীয় পরিষদ, সিনেট এবং পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদের এক হাজার ১২১ সদস্যের ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।  

দেশটির ১৩তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়ছেন ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আরিফ আলভী, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সমর্থিত মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল প্রধান ফজলুর রেহমান ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রবীণ নেতা আইতজাজ আহসান।  

ড. আরিফ আলভী: 
ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মনোনীত প্রার্থী আরিফ আলভী। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ছাত্রজীবনে লাহোরের একটি ডেন্টাল কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  

আলভি ১৯৬৯ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের একজন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তিনি। ১৯৯৭ ও ২০০২ সালের দেশটির সাধারণ নির্বাচনে সিন্ধুর প্রাদেশিক পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তবে ওই নির্বাচনে জয় লাভ করেননি। পরে ২০১৩ সালের নির্বাচনে করাচি থেকে নির্বাচিত হন।  

২০০১ সালে পিটিআই’য়ের সহ-সভাপতি ও পরে ২০০৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আলভি।  

ফজলুর রেহমান: 
জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জোট গঠন করেন তিনি।  

ফজলুর রেহমান পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে এখন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ, আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির সমর্থনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করছেন।  

১৯৮০ সালে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ফজলুর রেহমান। তার বাবা মাওলানা মুফতি মাহমুদ।  

আইতজাজ আহসান: 
প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী আইতজাজ আহসান। মানবাধিকার কর্মী আইতজাজ দেশটির সাবেক সিনেটর ও একজন আইনজীবী।  

১৯৭২ সালে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন আইতজাজ। তিনি পিপিপি সরকারের আমলে ৭০ দশকে পাঞ্জাবের তথ্য, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  

এরপর ১৯৭৭ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টি ছেড়ে তেহরিক-ই-ইসতাকলাল অব আসগার খানে যোগ দেন তিনি। এরপর ১৯৮৮ সালে পুনরায় পিপিপিতে যোগ দেন। বেনজির ভুট্টোর আমলে মন্ত্রীত্বও পান। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে দেশটির সিনেটে নির্বাচিত হন আইতজাজ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।