ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সুনামিতে আরো শতাধিক নিহত বেড়ে ৩৭৩

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
সুনামিতে আরো শতাধিক নিহত বেড়ে ৩৭৩ উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। আরও প্রায় ১০০ জন যোগ হয়ে এখন পর্যন্ত এ দুর্যোগে ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত আছেন এক হাজার ৪০০ জন।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন- শনিবার (২২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া উচ্চ সুনামিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া তারা আবারও লামপাং প্রদেশটির উপকূলে সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্থানীয়দের।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সূত্রপাত থেকে জাভা এবং সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় মরণনাশক এ সুনামিটি আঘাত হেনেছিল।

দ্বীপ দুইটির উপকূলে দ্বিতীয় বারের মতো সুনামি হতে পারে- কর্তৃপক্ষের এমন সতর্কতায় এখানকার লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন ইতোমধ্যেই। তাছাড়া যারা শনিবারের সুনামিতে প্রভাবিত হয়েছেন, তাদেরও অন্যত্র আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সুনামির পরপরই অভিযানে নেমেছিল দেশটির উদ্ধারকারী ও নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার রাত থেকে শুরু করা অভিযানে তারা বিপদে পড়া এবং নিখোঁজদের উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ান দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রোহো বলছেন, সুনামিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কেননা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন। তাছাড়া উদ্ধারকারীর ঘটনাস্থল থেকেও মরদেহ খোঁজে বের করছেন।

এদিকে,  হঠাৎ করে বয়ে যাওয়া এ প্রলয়ঙ্করী সুনামি ওই এলাকার শত শত বিল্ডিং ভেঙে দিয়েছে। এতে ধ্বংস হয়েছে ছোট ছোট অনেক বাড়ি-ঘরিও। সেইসঙ্গে মাটিতে উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যবর্তী ক্রাকাতোয়ার ‘শিশু’ নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হতে ভয়ঙ্কর এ সুনামি দেখা দেয় দ্বীপগুলোর আশপাশের সমুদ্রে। তবে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত এখনও থামেনি। যেকারণে আবারও সুনামির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এর জন্য উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে বার বার সতর্ক করে দেওয়ার পর এখন তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়েই নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুর খবর এসেছে দেশটির পান্দেগলাং, দক্ষিণ লামপাং ও সেরাং এলাকা থেকে।

ইন্দোনেশিয়ান ভূতাত্ত্বিক সংস্থার মতে, শিশু আগ্নেয়গিরির উচ্চতর অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সগরের তলদেশে ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়। আর এতে শক্তিশালী এ জলতরঙ্গ শুরু হয়।

যদিও দেশটিতে এ মাত্রার সুনামি নতুন নয়। প্রায়ই উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগটি। আর এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানিসহ বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। সম্প্রতিও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দ্বীপরাষ্ট্রটির সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সৃষ্টি হয় সুনামির। যাতে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষের।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।