ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অভিবাসীদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল বন্ধ করে দিয়েছে মেক্সিকো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
অভিবাসীদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল বন্ধ করে দিয়েছে মেক্সিকো

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের নিকটবর্তী পেদ্রাস নিগ্রাস শহরে অভিবাসীদের একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রায় ১৬০০ জন মধ্য আমেরিকান অভিবাসীর আটকে থাকা এই আশ্রয়স্থলটি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

অভিবাসীদের অভিযোগ, একটি কারখানা ভবনে আমাদের আশ্রয়স্থল ছিল।

সেখান থেকে কোহুলিহার কর্তৃপক্ষ আমাদের বের করে দিচ্ছে। তবে বর্তমানে আমাদের আশেপাশের রাজ্যে চলে যেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, কোহুলিয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়ে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজ শহরের মেয়র আরমান্দো কাবাডা বলেন, ওই সব অভিবাসীদের এখানে নিয়ে আসতে আমরা ইতোমধ্যে যানবাহন পাঠিয়েছি। মেক্সিকোর এ কাজটি করা উচিত হয়নি।

কোহুলিয়া রাজ্যের কর্মকর্তা জোস বোরেগো টেক্সাসের ‘ইগল পাস’ সীমান্তের নিকটবর্তী পেদ্রাস নিগ্রাস শহরের আশ্রয়স্থলটি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন শহর থেকে অভিবাসীদের নিতে যানবাহন পাঠানো হয়েছে। ভালো কাজের আশায় তারা পেদ্রাস নিগ্রাস শহরের আশ্রয়স্থলটি ছেড়ে সিউদাদ জুয়ারেজ, হারমোসিলো, সোনোরা, সীমান্তবর্তী শহর তিজুয়ানা, মনটেরি ও সীমান্তবর্তী শহর রেয়নোসাতে চলে যেতে শুরু করেছে।
  
এসব অভিবাসীরা মূলত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাবার আশায় সীমান্তে পৌঁছেছিল। কিন্তু মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রেখে প্রতিদিন মাত্র ১২ জনকে ‘ইগল পাস’ সীমান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনার সুযোগ দেয়।

অভিবাসীরা এল পাসো শহর হয়ে সিউদাদ জুয়ারেজে পৌঁছানোর ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। আপাতত স্থানীয় একটি জিমন্যাসিয়ামে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।  

জুয়ারেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কোহুলিয়া শহরের কর্তৃপক্ষ এল পাসো শহর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো সহজ হবে, এমন মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে অভিবাসীদের শহরটি ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।

এ ব্যাপারে মেয়র কাবাডা বলেন, কোহুলিয়াতে দৈনিক প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন অভিবাসী প্রবেশ করছে বলে দাবি করছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা মূলত তাদের সমস্যা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতেই এ কাজ করছে, যা করা উচিত হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।