ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্ব পেতে কারা লড়ছেন, এগিয়ে কে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৯
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্ব পেতে কারা লড়ছেন, এগিয়ে কে? বরিস জনসন, মাইকেল গোভ, জেরেমি হান্ট ও অ্যাস্থার ম্যাকভি: ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ব্রেক্সিট চুক্তিতে ব্যর্থ হয়ে টেরিজার মের দলীয় প্রধান বা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণার পরই শুরু হয় নতুন করে আসনটি পাওয়ার লড়াই। ইতোমধ্যে সে লড়াই জমেছে। এ পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন ১১ প্রার্থী। তবে কে বসতে পারেন বা কাকে বেচে নেওয়া হতে পারে কনজারভেটিভ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তা এখনই নয়; জানা যাবে জুলাইয়ের শেষের দিকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে টেরিজার মের ঘোষণার পরপরই। তবে প্রথমে চারজনের নাম এসেছিল।

পরে একে একে এ লড়াইয়ে নেমেছেন ১১ এমপি। এর মধ্যে ‘যোগ্যতার বিচারে’ এগিয়ে আছেন দেশটির চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন। তিনি একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। তবে এটাও সত্য, দৌঁড়ে এগিয়ে থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন, এটা ভুল। অতীত বলে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয় কনজারভেটিভ নেতা। বেশির ভাগ সময়ই পিছিয়ে পড়ে থাকারাই নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বরিস জনসন নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এবারই নতুন নয়; আরও একবার নেমেছিলেন। জিততে পারেননি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বর্তমান পরিবেশমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিটপন্থী নেতা মাইকেল গোভ। লক্ষণীয় বিষয় হলো- এবারও ৫১ বছর বয়সী এই গোভ প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হয়েছেন। দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন।

একইসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন বলে নাম এসেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়াট ও কনজারভেটিভ ১৯২২ কমিটির প্রেসিডেন্ট গ্রাহাম ব্রাডির। পাশাপাশি এই ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম। সাবেক শ্রম বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাস্থার ম্যাকভি এই দুইজনের মধ্যে একজন।

গত ২৪ মে ঘোষণা দেওয়ার পর ৭ জুন শুক্রবার দলীয় প্রধান পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ান টেরিজা মে। তবে নতুন করে আরেক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে। যদিও এই বাকি সময়ে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, তার পদত্যাগের পরপরই নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছে কনজারভেটিভ পার্টি। সোমবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতা দাখিল করার শেষদিন। পার্লামেন্টের যেকোনো কনজারভেটিভ সদস্য প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার প্রার্থিতায় আটজন সহকর্মী বা কনজারভেটিভ আট এমপির সমর্থন লাগবে।

পরে শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া। এমপিরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করে নেবেন। এতে করে বাদ পড়ে যাবেন অনেকে। এভাবে যখন মাত্র দুইজন প্রার্থী থাকবেন লড়াইয়ে, তখন দলটির সব সদস্য ভোট দিয়ে যেকোনো একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত এই ভোট হওয়ার কথা।

এরপর পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হবে নির্বাচিত নতুন কনজারভেটিভ নেতার নাম। যে কিনা এমনি-এমন হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন>>
আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছেন টেরিজা মে

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।