ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও’র কারণে গ্রেফতার সাংবাদিকসহ ৩ জন 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৯
‘মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও’র কারণে গ্রেফতার সাংবাদিকসহ ৩ জন  সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে টেলিভিশনে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার দেওয়ার কারণে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান এবং এর সম্পাদককে।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে দিল্লির পশ্চিম বিনোদ নগরের বাড়ি থেকে প্রশান্ত কানোজিয়া নামে ওই ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে লক্ষ্ণৌ নিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখান হয়।

এদিন রাতেই উত্তর প্রদেশের নয়দা থেকে গ্রেফতার করা হয় ন্যাশন লাইভ টেলিভিশনের প্রধান ও এর সম্পাদককে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রশান্ত কানোজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট করেছেন। টিভি চ্যানেলের প্রধান ও সম্পাদকের বিরুদ্ধেও মুখ্যমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
  
জানা যায়, গ্রেফতার সাংবাদিক তার ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টে যে ভিডিও শেয়ার করেছেন, তাতে এক নারীকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে তিনি যোগী আদিত্যনাথকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।  

প্রশান্তকে ভারতীয় তথ্য আইনের ৬৭ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াতে সাহায্যের অভিযোগ আনা হচ্ছে।  

প্রশান্ত কানোজিয়ার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায়, তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন ও মুম্বাই ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এছাড়া, তিনি বেশ কয়েকটি মিডিয়ার সঙ্গেও জড়িত।

এদিকে, শনিবার (৮ জুন) রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ন্যাশন লাইভ টেলিভিশনের প্রধান ও এর সম্পাদককে।

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) প্রচারিত চ্যানেলটির একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে আলোচিত ওই নারী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এতে মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে বলে সমর্থকরা অভিযোগ করলে, চ্যানেলের প্রধান ইশিকা সিং ও সম্পাদক অনুজ শুক্লাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিকসহ টেলিভিশন চ্যানেলের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। এতে, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রশান্ত কানোজিয়ার সাবেক কর্মস্থল দি ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভরদ্বাজ টুইট বার্তায় এ ঘটনাকে ভারতে মুক্তবাকের সমাধি মন্তব্য করে দ্রুত সবার মুক্তি দাবি করেছেন।
 
তবে, পুলিশ কর্মকর্তা বৈভব কৃষ্ণ বলছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা ছিল।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, প্রচারণার জন্য টিভি চ্যানেলটির লাইসেন্স নেই। অবৈধভাবে কার্যক্রম চালানের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ আনা হচ্ছে।  

এ ঘটনার পর টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রচার বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।