ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিহারে এনসেফালাইটিসে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
বিহারে এনসেফালাইটিসে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১২৯

ঢাকা: ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে এনসেফালাইটিস (ভয়ঙ্কর ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মস্তিষ্কে সংক্রমণ) রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২৯-এ দাঁড়িয়েছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩০০ শিশু।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজ্যের কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যম জানায়, এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের মুজাফফরপুর জেলায়।

সেখানে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ১০৭। এছাড়া অন্য জেলাগুলোর মধ্যে- ভাইশালিতে ১২, সামাস্তিপুরে পাঁচ, মতিহারিতে দুই, পাতনাতে দুই এবং বেগুসারাইতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আরও ৩০০ শিশু।

এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল (এসকেএমসিএইচ) পরিদর্শনে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার। সেসময় রাজ্যের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিয়ে তাকে চলে যেতে বলে।  

আর আগে সোমবার (১৭ জুন) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠক করে রাজ্য সরকার। বৈঠকে এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার খরচ সরকারই বহন করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে চার লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্যের কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (ব্লাড সুগার খুবই নিচে নেমে যাওয়া) কারণেই বেশিরভাগ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

১৪ জুন এসকেএমসিএইচ হাসপাতাল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ হাসপাতালসহ রাজ্যের অন্য হাসপাতালগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স ও বেড সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে। তার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একমত পোষণ করেছে।  

এছাড়া চলমান সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার।

চিকিৎসকদের মতে, এনসেফালাইটিস একটি ভাইরাল ইনফেকশন। প্রাথমিকভাবে যার কারণে জ্বর বা মাথাব্যথার মতো হালকা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।