ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরি শিশুদের স্কুলে ফেরাতে আর্জি মালালার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
কাশ্মীরি শিশুদের স্কুলে ফেরাতে আর্জি মালালার মালালা ইউসুফজাই।

ঢাকা: কাশ্মীরি শিশুদের স্কুলে ফেরাতে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মালালা এ আহ্বান জানিয়ে একটি টুইট করেছেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

খবরে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকে কাশ্মীর এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে আছে।

ইন্টারনেট ব্যবহার, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ভূ-স্বর্গ খ্যাত অঞ্চলটির বাসিন্দারা। নিরাপত্তার অভাবে ঘর থেকে বের হতে পারছে না শিশুরা। যেতে পারছে না স্কুলেও। তাদের পক্ষ নিয়ে আর্জি জানিয়েছেন মালালা ইউসুফজাই। তার আর্জি, জাতিসংঘ যেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়।

মালালা বলেন, ‘আমি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ও এর বাইরের নেতাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যেন তারা কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেন। কাশ্মীরিদের মনের কথা শুনুন এবং নিরাপদে এখানকার শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। ’

চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভারতের বিশেষ অঞ্চলের মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এরপর থেকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয় উপত্যকার অসংখ্য বাসিন্দাকে।  এ বিষয়ে মালালা বলেন, ‘আমি কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলের পর থেকে শিশুসহ নির্বিচারে গ্রেফতার ৪ হাজার মানুষদের নিয়ে চিন্তিত। একইসঙ্গে সেসব শিক্ষার্থীদের বিষয়েও চিন্তিত যারা স্কুলে যেতে পারছেন না প্রায় ৪০ দিন ধরে। আমি মেয়েদের নিয়েও চিন্তিত যারা নিরাপত্তার অভাবে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। ’

‘আমি সরাসরি কাশ্মীরি মেয়েদের কথা শুনতে চাই। কিন্তু আসলে তা সম্ভব না। কেননা, কাশ্মীর পুরো বিশ্ব থেকে এখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তাদের কথা বিশ্বকে কেউ শোনাবে সে সুযোগ নেই বললেই চলে। ’

চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাদ দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এরপর থেকে সেখানে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। যার কারণে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে এ উপত্যকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।