ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবদার সু চি’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবদার সু চি’র

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা বাতিল করার আর্জি জানিয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। তিনি আরও জানান, সামরিক বিচার ব্যবস্থাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।

সু চি বলেন, গাম্বিয়ার মামলাটি খারিজ দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার যে আবেদন করা হয়েছিল, তাও বাদ করা হোক।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের প্রেসিডেন্ট ইউসুফ জানান যত দ্রুত সম্ভব আদালত উভয় পক্ষকে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।

এর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানো সেনাদের বিচারের প্রশ্নে মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না বলে জানিয়েছে গাম্বিয়া।  

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইজেসি) রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার তৃতীয় ও শেষদিনের শুনানিতে গাম্বিয়ার যুক্তিখণ্ডন পর্বে এসব কথা বলেন দেশটির প্রধান আইনজীবী পল রাইখলার।  

এর আগে গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানির দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানকালে আইন লঙ্ঘন করা সেনাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান।  

এরই প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার গাম্বিয়া জানায়, মিয়ানমার মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানো  নিজ সেনাদের বিচার করবে, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সে সবের ব্যাপারেও দেশটিকে বিশ্বাস করা যায় না বলে জানায় তারা।  

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাদাও’।  

তাতামাদাওয়ের নামোল্লেখ করে ১৭ বিচারকের উদ্দেশ্যে গাম্বিয়ার আইনজীবী বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো তাতামাদাও নিজেই নিজের বিচার করবে? যখন কিনা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং থেকে শুরু করে ৬ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেই জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তাদের সবাইকে ফৌজাদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে।   
 
এরপরপরই তিনি ২০১৮ সালের জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, সেখানে ২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ খুন ও গণধর্ষণ চলানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯  
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।