ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৭ কোটি ৮ লাখ উদ্বাস্তু নিয়ে নতুন বছরে বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
৭ কোটি ৮ লাখ উদ্বাস্তু নিয়ে নতুন বছরে বিশ্ব বিশ্বজুড়ে বাড়ছে শরণার্থী সঙ্কট। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে শরণার্থী সঙ্কট। বিশ্বে প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। বর্তমানে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় সাত কোটি আট লাখ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানায়।

এতো বেশি সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে বাস্তুহারা হওয়ার ঘটনা বিশ্বে এই প্রথম। তাদের মধ্যে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৫৯ লাখ।

এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের কম। ২০১৮ সালে প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ওই বছরই নতুন করে উদ্বাস্তু হয়েছেন ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ। নিঃসন্দেহে ২০১৯ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী ঘরহারা মানুষের সংখ্যা আরও বেশি।

এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন। তাদের কোনো দেশের জাতীয়তা নেই; শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কাজের সুযোগ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত তারা।

যুদ্ধ, সংঘর্ষ, নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন করে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু নিয়ে নতুন বছর শুরু হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে।

ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্দি বলেন, এই বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ এটাই নিশ্চিত করে যে সামনের দিনগুলোতে যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে নিরাপদ আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে ইতিবাচক ব্যাপার এটাই যে, আমরা অনেক উদার ও সহমর্মী সম্প্রদায় দেখতে পাচ্ছি যারা অসংখ্য শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এ উদারতা ও সহমর্মিতা আমাদের দ্বিগুণ করতে হবে।

টানা পাঁচ বছর ধরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছে তুরস্ক। তারা আশ্রয় দিয়েছে ৩৭ লাখ শরণার্থীকে। এরপরই রয়েছে পাকিস্তান (১৪ লাখ), উগান্ডা (১২ লাখ), সুদান (১১ লাখ) এবং জার্মানি (১১ লাখ)।

সবচেয়ে বেশি শরণার্থী সিরিয়ার, প্রায় ৬৭ লাখ। এরপরই রয়েছে আফগানিস্তান (২৭ লাখ), দক্ষিণ সুদান (২৩ লাখ), মিয়ানমার (১১ লাখ) এবং সোমালিয়া (৯০ হাজার)।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।