ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে ফিলিপাইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে ফিলিপাইন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলেমানির হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত হাজারও নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিপাইন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সালভাদর প্যানেলোর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, গৃহপরিচারিকা, নির্মাণ শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার ও নার্স হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিপিনো।

সোলেমানি হত্যাকাণ্ডে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক, ইরান ও অন্য আরব দেশগুলো থেকে এসব ফিলিপিনোকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। এ জন্য আকাশ ও নৌপথে তাদের আনার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত হতে বলেছেন তিনি।

‘দীর্ঘ যুদ্ধের’ সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন দুতের্তে সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিপিনোদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তেহরান ও বাগদাদে বিশেষ দূত পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অনেক ফিলিপিনো মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। আমি এ নিয়ে চিন্তিত। মনে হচ্ছে, যে করেই হোক প্রতিশোধ নেবে ইরান।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইরাকে প্রায় সাত হাজার এবং ইরানে প্রায় এক হাজার ফিলিপিনো কাজ করছেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেলফিন লরেঞ্জানা জানান, তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ইরাক এবং ইরানে প্লেন ও ফেরি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে গঠিত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন লরেঞ্জানা।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত ফিলিপিনোরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন পাঁচ দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ওই বছর দেশটির মোট রেমিট্যান্সের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।