বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমানোর জন্য বৃহস্পতিবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ভোটাভুটি হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে গত রোববার (৫ জানুয়ারি) পেলোসি বলেন, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনায় ভীত কংগ্রেস। প্রশাসন কংগ্রেসকে না জানিয়েই সিদ্ধান্ত (সোলেমানিকে হত্যার) নিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারে কংগ্রেসের পরামর্শ নেওয়ার প্রতি সম্মান জানানো হয়নি। তাই প্রেসিডেন্টের সামরিক কার্যক্রম সীমিত করার জন্য যুদ্ধ ক্ষমতা কমানোর পক্ষে আমি।
পেলোসি বলেন, সহিংসতা রোধ করার জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমেরিকা ও বিশ্ব যুদ্ধের ভার বইতে পারবে না।
‘এখন আমরা তাদের (সরকারের) কাছ থেকে জবাব ও স্বচ্ছতা চাই’ বলে মন্তব্য করেছেন রিপ্রেজেন্টেটিভ জ্যাসন ক্রো। তিনি সাবেক মার্কিন সেনাবাহিনীর রেঞ্জার ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের সেনাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কী উদ্যোগ নিতে হবে, সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।
‘ওয়ার পাওয়ার্স অ্যাক্ট’ বা যুদ্ধ ক্ষমতা আইন সামরিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি প্রতিরোধ করে না। এ আইন অনুযায়ী, যুদ্ধের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেস উভয়ের উভয়ের অনুমোদন লাগবে। সেই সঙ্গে অভিযানের বিস্তারিত জানাতে হবে কংগ্রেসকে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রিপাবলিকান এলিসা স্লটকিন বলেন, এই ভোটাভুটির কারণ হচ্ছে স্পষ্টভাবে বোঝানো, প্রেসিডেন্ট যুদ্ধে যেতে চাইলে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এফএম