তিনি বলেছেন, আমরা চাইলে প্রথম ধাপেই পাঁচশ' মার্কিন সেনাকে হত্যা করতে পারতাম। কিন্তু তা করা হয়নি।
আমির আলী হাজিযাদেহ হচ্ছেন আইআরজিসির ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগের প্রধান কমান্ডার।
হাজিযাদেহ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ওই হামলার পাল্টা হামলা চালাত, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের হামলায় চার থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারাতো।
ইরানের এই জেনারেল বলেন, ‘শহীদ সোলেমানি’ নামের যে অভিযান আমরা শুরু করেছিলাম তা অনেক বড় ছিল। কয়েকটি ধাপের পরিকল্পিত এই অভিযান আমরা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন অনুভব করলে তা গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তো।
তিনি দাবি করেন, ইরাকের দু'টি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু মার্কিন সেনা হতাহত হয়েছে। হতাহতদের নয়টি বিমানে করে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও জর্দানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইরাকে মর্কিন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল সোলেমানি নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিশোধ গ্রহণের ঘোষণা দেয় ইরান। এর দুদিন পরই ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দেশটি।
ইরানের দাবি হামলায় ৮০ জন মার্কন সেনা নিহত হয়েছে। কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের বিমানে করে ইসরায়েল ও জর্ডানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামলায় কিছু ক্ষতি হলেও কেউ মারা যাননি।
এরইমধ্যে জাতিসংঘে চিঠি পাঠিয়ে ইরানের সঙ্গে শর্তহীন আলোচনায় রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে তারা বলেছে, তারা যুদ্ধ শুরু করতে নয়, বরং শেষ করতে চায়।
মনে করা হচ্ছে, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা আপাতত কেটে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এজে