শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লে দ্রিয়ান জার্মানির রেডিও আরটিএলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ উদ্বেগের কথা জানান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৫ সালে হওয়া ওই পরমাণু চুক্তি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় ইরান। ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ও সক্ষমতা সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার তাদের সঙ্গে ওই চুক্তি করে। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি একপাক্ষিকভাবে চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, এরপরপরই ইরানের ওপর একের পর এক কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে ওয়াশিংটিন। আর তাই নতুন পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈরিতাকে উস্কে দেয়। এরপর যুক্তি দেখিয়ে কয়েক ধাপে পরমাণু চুক্তির কিছু অংশ থেকে সরে যায় তেহরান। কিন্তু সম্প্রতি সোলেমানি হত্যার জেরে চুক্তিটি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গেই উদ্বেগ প্রকাশ করে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি ইরান ওই পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যেই, দুই থেকে এক বছরের মধ্যেই তারা পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। এটা কোনো প্রত্যাশিত সুরাহা হতে পারে না।
এ ব্যাপারে শুক্রবার জরুরি এক বৈঠকে বসতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরিয়ে আনার ব্যাপারে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। চলমান উত্তেজনায় দু’পক্ষের যে কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করে ফেললে পুরো মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। তেমন পরিস্থিতিতে ইরানও পারমাণবিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পিছপা হবে না।
গত নভেম্বরে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক নিশ্চিত করে, চুক্তির কিছু অংশ থেকে সরে গিয়ে এরই মাঝে ইরান নিজেদের ভূগর্ভস্থ কেন্দ্র ফোরদো-তে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছে। দিন দিন দেশটি নিজের পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এইচজে