ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজি জে. হাফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজি জে. হাফতার লিবিয়ার বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতার। ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়েছে বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী।

রোববার (১২ জানুয়ারি) জেনারেল হাফতারের অনুগত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমদ আল-মিসমারির ভিডিও বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

ভিডিও বার্তায় বলা হয়, শর্তসাপেক্ষে এ যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেওয়া হয়েছে। যদি এরমধ্যে কোনো হামলা করা হয়, তাহলে যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে জেনারেল হাফতারের অনুগত বাহিনী লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের কাছ থেকে রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।

যুদ্ধবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপোলির মিটিগা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর ঘোষণা দিয়েছে লিবিয়ার সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয়। হাফতার বাহিনীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক টেলিফোন সংলাপের পরপরই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দিলো হাফতার বাহিনী।

এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইস্তাম্বুলে এরদোগান ও পুতিনের মধ্যে এক বৈঠকের পর তুরস্ক ও রাশিয়া এক যৌথ ঘোষণায় লিবিয়ায় সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।

তাৎক্ষণিকভাবে জেনারেল হাফতার এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

সম্প্রতি লিবিয়ার সরকার হাফতার বাহিনীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের কাছে ‘জল, স্থল ও আকাশ পথে’ সাহায্যের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায়। ইতোমধ্যে লিবিয়ার সরকারকে সহায়তার জন্য তুরস্ক দেশটিতে সেনা পাঠানো শুরু করেছে।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের এপ্রিল থেকে রাজধানী ত্রিপোলি দখলের জন্য হাফতার বাহিনীর দফায় দফায় হামলায় দু’হাজার যোদ্ধা এবং ২৮০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন এবং বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।