স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘রূপান্তরকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে চীনা নেতারা এ চুক্তিকে ‘উইন-উইন’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি করতে সহায়তা করবে।
চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি ২০১৭ সালের স্তরের তুলনায় আরো ২০০ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নিয়মনীতি জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর আরোপিত নতুন শুল্ক কিছুটা অর্ধেক করতে সম্মত হয়েছে। তবে সীমান্তের বেশিরভাগ কর স্থিতিশীল রয়েছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের চীনা সেন্টারের সভাপতি জেরেমি ওয়াটারম্যান বলেন, সামনে আরো অনেক কাজ পড়ে আছে। মূলকথা হলো, তাদের (চীন) দিনটি উপভোগ করা উচিত, কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য টেবিলে ফিরে আসতে তারা বেশি সময় অপেক্ষা করবেন না।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, চীনের সঙ্গে প্রথম ধাপের চুক্তি হতে পারে খুব শিগগিরই। অবশ্য গত মাসেই ট্রাম্প বলেছিলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি চীনের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ওয়াশিংটনে চুক্তি সই হবে। এরপরে দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে চীন সফরে করবেন তিনি।
গত দেড় বছর ধরে বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ চলছে। একে অপরের পণ্যের ওপরে ক্রমাগত শুল্ক চাপিয়েছে বা বাড়িয়েছে তারা। আর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে।
দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর অবশেষে গত বছরের ডিসেম্বরে আভাস পাওয়া যায়, একটি বাণিজ্য চুক্তিতে তারা এক হতে কাজ করছে। এছাড়া উভয়ের নতুন করে পণ্যে শুল্ক চাপানোর কথা থাকলেও তা স্থগিত রেখেছে দেশ দুটি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
জেডএস