মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এবং যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অধিদফতার জানিয়েছে, ২০১৯ সাল ছিলো গত দশকের মধ্যে দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর। আর দশকের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিলো ২০১৬।
সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ১৭০ বছরের ইতিহাসে গত পাঁচ বছর ছিলো সবচেয়ে উষ্ণতম। এ সময়ে প্রতি বছরই তাপমাত্রা গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেড়েছে।
এদিকে বায়ুমণ্ডলের পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠেও তাপমাত্রার বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে সংস্থাগুলো। একইসময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে নতুন প্রকাশিত এ তথ্যচিত্র বড় কোনো আশ্চর্যজনক বিষয় নয়। কারণ দশক শেষে ২০১৯ সাল এমন কোনো চিত্র দিতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলো আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ১৮৫০ সাল থেকে ১৯০০ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ইউরোপে জুন ও জুলাইয়ে দুটি বড় ধরনের তাপদাহ দেখেছে বিশ্ব। এর ফলে ২৮ জুন ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়েছে ফ্রান্স। এ রেকর্ডে একইসঙ্গে নতুন করে নাম লিখিয়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ। আর ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। তাপদাহে পুড়েছে অস্ট্রেলিয়াও। যার প্রভাবে দেশটিতে ভয়াবহ দাবানল চলছে। দাবানলে পুড়েছে আমাজন।
যুক্তরাজ্যের হেডলি সেন্টারের আবহাওয়াবিদ কলিন মরিস বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে প্রতি দশকই উষ্ণতায় আগের অবস্থানকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
আর এ অবস্থার জন্য গবেষকরা মনুষ্য কারণে সৃষ্ট কর্মকাণ্ডে কার্বন নিঃসরণকেই দায়ী করছেন।
রয়্যাল মেটেরিওলজিক্যাল সোসাইটির প্রফেসর লিজ বেন্টলে বলেছেন, বায়ুমণ্ডলে এযাবতকালে সর্বোচ্চ পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডের অবস্থান রেকর্ড করা হয়েছে। এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে অবশ্যই এর সরাসরি সংযোগ রয়েছে। বায়ুমণ্ডলে এভাবে কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি বাড়লে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়াটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
জেডএস