বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ খবর জানানো হয়।
আনাদোলু এজেন্সি জানায়, আটক চার কর্মীর মধ্যে একজন তুরস্কের নাগরিক।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে আনাদোলু এজেন্সির কায়রো কার্যালয়ে হানা দেয় পুলিশ। এসময় তারা কার্যালয়ে সিকিউরিটি ক্যামেরা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া আটক কর্মীদের মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট ও কম্পিউটার জব্দ করা হয় জানায় সংস্থাটি।
এ বিষয়ে মিশরীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা আনাদোলু এজেন্সির কর্মীদের আটক নিশ্চিত করে জানিয়েছে, কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই সংস্থাটি কায়রোতে কাজ করে আসছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, সংস্থাটির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত মধ্য কায়রোর এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার কার্যালয়ে পুলিশের হানা দেওয়ায় নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে সংস্থাটির কায়রো কার্যালয়ে পুলিশের এ হানাকে হয়রানি ও হুমকিমূলক হিসেবে উল্লেখ করে আটক কর্মীদের শিগগির ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘আনাদোলুর ওপর এ সহিংস আচরণ মিশরীয় শাসকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিই বিরূপ অবস্থানকেই শুধু তুলে ধরেনি, পাশাপাশি মিশরে গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার চিত্রকে প্রকাশ করেছে। ’
আনাদোলু এজেন্সির কার্যালয়ে পুলিশের হানা দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে তুরস্কে মিশরীয় দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে পাঠিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মিশরে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসীর ক্ষমতাচ্যুতির পর কায়রো-আঙ্কারার কূটনীতিক সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। মিশরে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সভা-সমাবেশে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসিকে এড়িয়ে চলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এবি